আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য
শুল্ক বৃদ্ধি করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শুল্ক বাড়ার কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার স্থলবন্দরটিতে আমদানিতে ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের আদেশ কার্যকর হওয়ার পর পরই এ আমদানি বন্ধ করে দেন তারা। বর্তমানে এই স্থলবন্দর দিয়ে নতুন কোনো চালানের চাল দেশে প্রবেশ করছে না।
আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত ও কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চাল আমদানিতে শুল্কের হার ২৮ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। বুধবার বিকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশনে এ আদেশ কার্যকর করা হয়। এর আগ পর্যন্ত ২৮ শতাংশ হারেই শুল্ক পরিশোধ করে আমদানীকৃত চাল বন্দর থেকে ছাড় করিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানিকারী ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ লেবু ও রাজীব দত্ত জানান, এর আগে শুল্ক বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার পর থেকেই বন্দর দিয়ে চালের আমদানি সীমিত পর্যায়ে নেমে এসেছিল। বিশেষ করে রত্না বা স্বর্ণা জাতের চাল আমদানি একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় সামান্য পরিমাণে চিকন জাতের শম্পাকাটারি বা নাজিরশাইল জাতের চাল আমদানি করা হয়। গত বছর ও চলতি বোরো মৌসুমে দেশে ধানের বাম্পার ফলন ও দাম কম হওয়ায় ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। এর সঙ্গে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আমদানিকারকরা এখন চাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত বোধ করছেন ও তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গত অর্থবছরে চাল আমদানিতে শুল্ক কম থাকায় এখান দিয়ে প্রচুর চাল আমদানি হয়েছে। এরপর চলতি অর্থবছরে আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার কারণে এখান দিয়ে দৈনিক গড় আমদানি নেমে আসে ১৫-২০ ট্রাকে। আমদানিতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বর্তমানে মোট শুল্কহার তুলে নেয়া হয়েছে ৫৫ শতাংশে। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা এরই মধ্যে এখানে এসে পৌঁছেছে ও কাস্টমসের সার্ভারেও তা সমন্বয় করা হয়েছে। বুধবার বিকালে শুল্ক বাড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে চাল আমদানি প্রায় বন্ধ রয়েছে।