দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
শুধু মেয়র নয়, কাউন্সিলর পদেও ভরাডুবি হয়েছে বিএনপির
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দলের এ ভরাডুবির জন্য বিএনপি নেতারা দুষছেন নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপিকে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বলছে, জনবান্ধব কোনো কর্মসূচিতে না থাকায় বিএনপিকে জনগণ দূরে সরিয়ে দিয়েছে। যার কারণেই ভরাডুবি হয়েছে দলটির।
ব্যাপক ডামাডোলে হয়ে গেলো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তফসিল ঘোষণা থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে লড়ে গেছেন বিএনপির দুই মেয়র ও দেড় শতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী। প্রচারণা বা শোডাউনেও কম ছিল না কেউ। কিন্তু ফলাফলে মেয়র-কাউন্সিলর উভয় পদেই ভরাডুবি হয়েছে দলটির। কেন এ ভরাডুবি?
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলছেন, নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে দেয়া হয়েছে বিএনপি প্রার্থীদের। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে উল্টো আওয়ামী লীগেরই ভরাডুবি হতো বলেও দাবি তার।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এজেন্ট বের করে দিয়েছে, বিএনপির ভোটাররা ভয়ে আসে নাই, যারা গেছে সাহস করে ফিঙ্গার প্রিন্ট ওপেন হওয়ার পর আওয়ামী লীগের এজেন্টরা বলেছে তোমার ভোটটা আমি দিয়ে দেব। কিছু করার নাই, দিয়ে দিয়েছে। যদি এগুলো না ঘটতো আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জামানত ঠিক থাকতো কিনা সন্দেহ আছে।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে জনবান্ধব কোনো কর্মসূচি নেই বিএনপির। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণাও ছিল না তাদের ইশতেহারে। যার ফলে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপিকে।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণে বা দেশের কল্যাণে এ পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি দিতে পারেনি। তারা মেয়র হয়ে নগরবাসীকে কী দিতে পারবে, সে রকম কোনো গ্রহণযোগ্য প্রতিশ্রুতিও দিতে পারেনি। বিএনপি কে চালায়, কর্মসূচি কী, ভবিষ্যৎ কী- মানুষ আর বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।
এবার ঢাকা উত্তরে ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত এবং দক্ষিণে ৭৫টি সাধারণ ও ২৫টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়েছে। এতে বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের ১৩ জন মেয়র, ৫৭৬ জন সাধারণ ও ১৫৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরপ্রার্থী লড়েছেন। মেয়র পদে ঢাকা উত্তরে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।