জীবন-যাপন
শীতে বাতাসের মান খুবই খারাপ, দূষণ এড়াতে মানুন কিছু নিয়ম!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শীত এলে আমাদের সারা বছরের বায়ুদূষণের মাত্রা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা কমলেই বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ে। ক্ষতিকর ধূলিকণা আমাদের শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে। বাতাসে ধোঁয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি একাধিক ক্ষতিকর উপাদানের পরিমাণ বাড়ে। যার প্রভাবে অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানি-সহ একাধিক রোগ হতে পারে।
যদিও চাইলেই এই যানবাহন, কলকারখানার দূষণ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না। এই পরিস্থিতিতে তবুও দূষণ থেকে বাঁচাতে হবে নিজেকে। কী ভাবে?
সম্প্রতি ‘কেমিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ’ জার্নালে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। বায়ুদূষণের জেরে শরীরে স্নায়ুসংক্রান্ত নানা অসুবিধা দেখা যায়। পাশাপাশি অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানিস-সহ একাধিক রোগ হতে পারে। বায়ুদূষণের প্রভাবে গর্ভবতীদের শরীরেও অনেক সমস্যা হয়। এর ফলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শীতে বাতাসের গুণগত মান হ্রাস পাওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ুষ্কালের আগেই বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে। যদি সকালের দিকে ধোঁয়াশা(কুয়াশার সাথে ধুলা) বেশি থাকে, তা হলে ব্যায়াম বা শরীরচর্চার জন্য সেদিন বাইরে না যাওয়াই ভালো। যে সব জায়গায় তীব্র যানজট সেই এলাকাগুলি থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়। বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী যে কোনও স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতেও বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী কোনকিছু থাকলে তার ব্যবহার কমাতে হবে। ঘরের মধ্যে ধূমপান না করাই অতি উত্তম।
/আরএম