দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

শিশু সামিউল হত্যা: মা ও পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পরকীয়ায় বলি পাঁচ বছরের শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি হত্যা মামলার সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার মায়ের পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

এদিন মামলার দুই আসামির মধ্যে শামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার মায়ের পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারক বেলা ১২ টা ৩৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষ হলে বেলা ১২ টা ৫৮ মিনিটে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার মায়ের পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটিতে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। বর্তমানে মামলার দুই আসামি বাক্কু ও এশা পলাতক রয়েছেন। এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন আসামি এশা জামিন নেন। এরপর তিনি আদালতে হাজির হননি। তারপর আদালত পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার রায়ের জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায়ের দিন পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে সামিউলকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে মরদেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। এরপর একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওইদিন আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা এবং বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।

এই মামলায় সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন। অপরদিকে বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। বর্তমানে বাক্কু ও এশা দুইজনই পলাতক।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close