তথ্যপ্রযুক্তি
শিল্প খাতে বাড়ছে রোবটের ব্যবহার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের বিকল্প ব্যবহারের চিন্তা থেকেই রোবটকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের কারখানায় তো বটেই বাসাবাড়ি এমনকি অফিসেও শুরু হয়েছে রোবট বা রোবটিকস বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশে রোবটের গবেষণা এবং উদ্ভাবন শুরু হলেও এখন চীনসহ এশিয়ার দেশগুলোতেও বাড়ছে রোবট তৈরির পরিমাণ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চীনের দক্ষিণাঞ্চলের কারখানা-অধ্যুষিত প্রদেশ গুয়াংজোতে সম্প্রতি রোবটের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে; সেখানে চীনা রোবটের দাম কমেছে অনেকটাই।
গৃহস্থালি পণ্য তৈরির এক কারখানার পরিচালক বলেন, তারা তিনটি রোবট কিনেছেন। শ্রমিকদের কাজ করতে পারে এমন রোবট কেনা হয়েছে বিদেশি রোবটের ৫০ শতাংশ কমদামে। আশা করছি দাম আরও কমবে এবং চলতি বছরের শেষদিকে আরও চার-পাঁচটি রোবট কেনার পরিকল্পনা আছে। এতে করে বাড়তি শ্রমিকের খরচ কমবে বলে জানান তিনি। যেহেতু আমাদের কারখানায় মাত্র ১০০ জনের মতো কাজ করেন।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো কাচামালের দাম বাড়লেও শিল্প খাতের শ্রমিকদের সহযোগিতা করতে সক্ষম এমন রোবটের দাম কমছে। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, গতবছরের শেষার্ধ থেকেই শিল্প খাতের জন্য রোবটের বিক্রি হু হু করে বাড়ছে আর এতেই কমেছে দাম। অর্থাৎ রোবট উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে।
এর পাশাপাশি স্থানীয় অনেক প্রতিষ্ঠান রোবট উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে। উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখে চীনে ব্যবসা করা বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কারখানায় রোবটের উৎপাদন বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এখাতে শক্ত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, যার সুফল পাচ্ছে ক্রেতারা।
দ্যা শেনজেন কলিবরি টেকনোলজিসের বিজনেস ডিরেক্টর চেন ওয়েনকিং বলেন, চিপ এবং কন্ট্রোলারের মতো কাঁচামালের দাম ১০/১৫ শতাংশের মতো বেড়েছে তারপরও আমাদের অটোমেটেড গাইডেড ভেহিকেলের দাম কমেছে ৫ থেকে ৮ শতাংশ। সুতরাং আমি মনে করি দরপতনটা অনেক বড়। যদিও চলতি বছর আমাদেন এ ধরনের গাড়ির বিক্রি বেড়েছে চার গুণ পর্যন্ত।
কন্ট্রোলার, সার্ভো সিস্টেম এবং রিডিউসারের মতো রোবটের মূল যন্ত্রাংশের বেশির ভাগই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে। শিল্প খাতের রোবট তৈরির মোট খরচের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হয় এ সব যন্ত্রাংশে। যদিও প্রযুক্তি ও গবেষণায় চীনের দ্রুতগতির উন্নয়নে স্থানীয় রোবটের উৎপাদন খরচ আরও কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে।