কৃষিশিল্প-বানিজ্য
শিল্পের আওতার মধ্যে আসছে কৃষিযন্ত্র
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কৃষিযন্ত্র উৎপাদন শিল্পের সম্প্রসারণের উপর জোর দিতে যাচ্ছে সরকার। এই উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে একটি নীতিমালা। নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষি কার্যে ব্যবহার্য যন্ত্রসামগ্রী তৈরীর শিল্পকে কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য করবে সরকার।
সরকার কয়েক বছর ধরেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে উৎসাহিত করে আসছে। নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রসামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে হাওর অঞ্চলের কৃষককে ৭০ শতাংশ ও সারাদেশের কৃষককে ৫০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তা দিচ্ছে। তবে নীতিমালা না থাকায় দেশে যন্ত্রপাতির উৎপাদন ও আমদানিতে ভারসাম্য আনা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া, যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর ও শুল্ক সম্পর্কিত সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নীতিমালা তৈরি হলে এসব সমস্যা দূর হওয়ার সাথে সাথে সরকার থেকে উন্নয়ন সহায়তায় দেওয়া কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণে আরো স্বচ্ছতা আসবে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি হতে যাচ্ছে জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০১৯। খাতটিতে শৃঙ্খলা আনা ও অগ্রাধিকারভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করার সুবিধার্থে এ কাজে হাত দিয়েছে সরকার। নীতিমালা তৈরি হলে কৃষি যন্ত্রপাতির উৎপাদন ও আমদানিতে থাকা সমস্যাগুলো দূর হবে বলে সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন।
কৃষি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারকদের নিয়ে যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই শিল্পের উন্নয়নে বিশেষায়িত উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে উচ্চতর সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করা হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের যুগ্মপ্রধান মো. রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০১৯-এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে নীতিমালাটি পর্যালোচনা পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত খসড়া নীতিমালাটি প্রণীত হয়েছে। খসড়া নীতিমালাটির উপর সবার মতামত আহ্বাণ করা হচ্ছে। এরপর সকল পক্ষের মতামত ও পরামর্শ অনুসারে এটি চূড়ান্ত করা হবে।