দেশজুড়ে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান, পুনর্বিবেচনার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
ইবি প্রতিনিধিঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও হল খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বরে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জি কে সাদিক।
তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৭ মে হল ও ২৪ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমরা এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার দাবি করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদিক বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘােষণার পর ইতােমধ্যে ইবিতে সব ধরণের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটি চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কারণ ইতােমধ্যে অনেক বিভাগের পরীক্ষা চলছে, কিছু বিভাগে পরীক্ষার তারিখ ঘােষণা করা হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে এসে মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, যদি এই আন্দোলন দমন করা কিংবা শিক্ষার্থীদের উপর হয়রানি বা চাপ প্রয়ােগ করার কোনাে সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেয়, তাহলে তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তাই কোনাে ধরনের দমন-পীড়নের দিকে না গিয়ে দ্রুত হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকার ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, প্রায় ৬ মাস আগেই দেশের সব কওমী ও হেফজ মাদ্রাসাগুলাে খুলে দেয়া হয়েছে। সেই শিক্ষার্থীদের মাঝেও করােনা ছড়ানাের শঙ্কা রয়েছে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে করােনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে সরকারের এই দাবির কোনাে যৌক্তিকতা আমরা পাচ্ছি না।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে হঠকারী উল্লেখ করে স্থগিতকৃত পরীক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করে দেয়া ও আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল না খুললে, হলে উঠে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তারা জানান, হল ও ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত চলতে থাকবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, “এটি একটি জাতীয় ইস্যু, আমি ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের এ দাবির সাথে একমত। আমিও চাই শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা দিক এবং ক্লাস রুমে ফিরে আসুক। কিন্তু আমাকে সরকার এখানে নিয়োগ দিয়েছে, এজন্য সরকারের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে আমি একা কিছু করতে পারিনা।”
তিনি আরো বলেন, “সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা অবশ্যই ভেবেচিন্তে বৃহৎ স্বার্থে নিয়েছেন সুতরাং আমরা সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া। তারপরেও যদি চলমান পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পুনঃ বিবেচনা করেন তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক সেটা শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করবো।
/এন এইচ