দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

শিক্ষক আরিফ ২০ ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় ৬ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের এক হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব। জানা যায়, পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের টার্গেট করে ওই শিক্ষক প্রথমে দুয়েকটি ঘটনা ঘটায়, কিন্তু কেউ মুখ না খোলায় আরও বেপরোয়া হয় সে। এরপর একের পর এক ছাত্রীকে টার্গেট করে এই শিক্ষক। এমনকি ব্লাকমেইল করে এক ছাত্রীর মাকে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে, কাউকে পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে, কোনও ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিয়ে, আবার কোনও ফেল করা শিক্ষার্থীকে ডেকে ভালো নম্বর পাইয়ে দিতে চেয়ে ফাঁদে ফেলতো এই শিক্ষক। অঙ্ক ও ইংরেজির শিক্ষক হওয়ায় সে এসব সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, শিক্ষক আরিফুল ইসলামের নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন প্রায় ৭ থেকে ৮ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। এছাড়া তার মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের ডিভাইস চেক করে মোট ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক আরিফুলের ফাঁদে পড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন শিক্ষার্থী। এমনকি এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর তার ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তার মাকেও ওই শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।’ এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কে এই আরিফুল ইসলাম:

আরিফুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জের একটি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। ২০০৯ সালে চাকরি শুরু করে সে। পড়াতো অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার শ্রীনদী গ্রামে। পিতার নাম মৃত সিরাজুল ইসলাম। রাজধানী ঢাকার কবি নজরুল কলেজ থেকে বিবিএস এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাস করেছে সে।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close