দেশজুড়ে
শাড়ির রং নিয়ে চুন্নুকে ‘কালার ব্লাইন্ড’ বললেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাড়ির রঙের প্রশংসা করতে গিয়ে টিপ্পনি সহ্য করতে হয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ও সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুকে। প্রধানমন্ত্রী নিজে তাকে ‘কালার ব্লাইন্ড’ বা রংকানা বলে টিপ্পনি কেটেছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ নেতাকে দেখে আজকে মনে হলো যে বসন্ত খুব কাছাকাছি।’ প্রধানমন্ত্রী বুধবার একটি রঙিন শাড়ি পরেন। ওই শাড়িতে হলুদ রঙের ছাপা ছিল।
প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে মুজিবুল হককে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় সংসদ সদস্যের জানা উচিত বসন্তের যে রং সেটা কিন্তু বাসন্তী রং। আমি কিন্তু বাসন্তী রং পরিনি। এখানে অনেক রং আছে। কালোও আছে। আমার মনে হচ্ছে সংসদ সদস্য কালার ব্লাইন্ড। এটা বাংলা করলে হয় রংকানা। জানি না আজকে বাড়িতে গিয়ে ওনার কপালে কী আছে।’ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সংসদে হাসির রোল পড়ে যায়।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে আইন প্রণয়ন কার্যাবলী পর্বে মুজিবুল হক চুন্নুর উদ্দেশে জাপার আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ‘আমার বন্ধু (চুন্নু) শুধু কালার ব্লাইন্ড নয়; প্রতিবন্ধীও। এদিক-ওদিক ঘাড় ঘোরাতে পারে না। উল্টো পাশে অতদূরে বাসন্তী রং দেখলেন। স্পিকার আপনার শাড়ির রংও দেখল না। সামনেই আমাদের বিরোধীদলীয় নেতাও বাসন্তী রঙের শাড়ি পরেছেন। সেগুলোও দেখল না।’
এর আগে ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘এত কাছ থেকে আমি কোনো দিন বাতিঘর দেখিনি। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’
বিএনপির হারুনুর রশিদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে সংসদের আলো বা বাতিঘর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পরে বিএনপির আরেক সদস্য রুমিন ফারহানা তার প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, ‘আজ সংসদের পরিবেশ খুব সুন্দর। আমি কথা বললে কতটুকু সুন্দর থাকবে জানি না। আমি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
/আরএম