ভ্রমন
ল্যাংটোদের শহরে ঘুরতে যাওয়ার নিয়ম
মোঃ রোকনুজ্জামান: সমুদ্র পাড়ের ছোট্ট একটা শহর, যেখানে দেখা মিলবে হাজার হাজার নগ্ন মানুষের। কারো শরীরে কোনো কাপড়ের ছিটেফোটাও নেই ।
তরুণ–তরুণী, আবাল-বৃদ্ধা সবাই একসাথে নগ্ন হয়ে হইহুল্লোড় করছে । যে যার মতো নগ্ন হয়ে সমুদ্র পাড়ে ঘোরাফেরা করছে, একসাথে নগ্ন হয়েই করছে সমুদ্র স্নান ।
কি শুনে অবাক লাগছে ! মনে হচ্ছে আজগুবি গল্প শোনাচ্ছি ! না আজুগুবি গল্প না , বলছি ফ্রান্সের ভূমধ্য সাগরের উপকূলে গড়ে উঠা ক্যাপড দাগদে রিসোর্টের কথা। এখানেই গড়ে উঠেছে “নগ্ন শহর” নামের একটি অঞ্চলের ।
নগ্নতাবাদীদের কাছে শহরটি তীর্থস্থানের মত। ‘নগ্ন মানুষের ব্যাংক’ খ্যাত এই শহরে প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে প্রায় ৪০,০০০ হাজার নগ্ন মানুষের আনাগোনা দেখা যায় । তাদের বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শহরে গড়ে উঠেছে নগ্ন সুপার মার্কেট, নগ্ন হেয়ারড্রেসার, নগ্ন পোষ্ট অফিস সহ এমন নামের অনেক প্রতিষ্ঠান।
সুন্দর সমুদ্রসৈকত আর নীল জলরাশির শহরটির মেয়রের নাম ফিল হোদ। হোদ নিজেই ওই ‘নগ্নদের’ দলেরই লোক। নিজে এই শহরের সভ্যতার নাম দিয়েছেন ‘প্রাকৃতিক সভ্যতা’ নামে।
গার্ডিয়ানের সাথে আলাপ করার সময় ফিল হোদ বলেন, প্রকৃতি ও আধুনিকতার মিশেলে শহরটিকে পৃথিবীর একমাত্র নগ্নদের শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফিল আরো বলেন, ‘এই শহরে ঢোকার নিয়ম হয়তো একটু অদ্ভুত। কিন্তু একবার এসে কেউ যখন ফিরে যাবে, সাথে নিয়ে যাবেন অনন্য এক স্মৃতি। যা অনুপ্রেরণা জোগাবে বেঁচে থাকার।”
আপনি চাইলেই যেতে পারবেন এই শহরে। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে নগ্ন হয়ে প্রবেশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনি কত সময় থাকবেন এই শহরে তার উপর নির্ভর করে অবশ্যই আপনাকে ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। এমনকি আপনার খুলে রাখা কাপড় লকারে রাখার জন্য ব্যয় করতে হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭০০ টাকা।
/আরজে/আরএম