কৃষিশিল্প-বানিজ্য
লোকসান নিয়েই আগামী মাসে আখ মাড়াই শুরু হবে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মাড়াই মৌসুমে উত্তরে একমাত্র চালু থাকা ঠাকুরগাঁও চিনিকল দেড় লাখ মেট্রিক টন আখ কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি সংগ্রহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কম দাম, বকেয়া পাওনাসহ নানা কারণে আখ চাষ করছেন নিবন্ধিত কৃষকরা। অন্যদিকে, সুগার মিলের নিজস্ব ১১শ’ একর জমি লিজ নিয়ে আখের বদলে আলু চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, মিলের লিজ দেওয়া শতভাগ জমিতে আখ চাষ হচ্ছে।
লোকসানের মুখে রংপুর অঞ্চলের চারটি সুগারমিল বন্ধ হলেও এখনো সচল রয়েছে ঠাকুরগাঁও চিনিকল। তবে টানা কয়েকটি মাড়াই মৌসুমে এই মিলটি আখ সংকটে পড়ে লোকসান গুনেছে। আখ চাষিদের অভিযোগ, কম দাম, নানা হয়রানি ও সময়মতো টাকা পরিশোধ না করায় তারা আখ চাষে আগ্রহী নন।
আখ চাষিরা বলেন, সুগার মিল আমাদের টাকা ঠিকঠাক দেই না। এ ছাড়া বাইরের আরও চাষিদের আখ আগে নেয়, আমাদেরটা নেই না।
অন্য এক আখ চাষি অভিযোগ করে বলেন, আখ চাষে যে সময় লাগে ১৬-১৭ মাস, এ সময়ে অন্য আবাদ ২-৩ বার ওঠে।
তবে কৃষকদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে মিলের নিজস্ব জমিতে আখ চাষ করে সংকট মোকাবিলার সুযোগ থাকলেও মিল কর্তৃপক্ষ করছে না আখ চাষ। মিলের ২ হাজার ৮শ’ দশমিক ৮৭ একর জমির মধ্যে ১ হাজার একশ’ একর জমি কৃষকদের লিজ দেওয়া হয়েছে। এসব জমিতে আখ চাষ না করে আলু ও গম চাষ করছেন তারা।
লিজগ্রহীতারা বলেন, আমি সুগার মিল থেকে জমি নিয়েছি আলু চাষের জন্য। তবে এখন মিল কর্তৃপক্ষ চাই এই জমিতে যেন আখ চাষ করি আমরা।
কৃষকদের পাওনা নিয়মিত পরিশোধের চেষ্টা চলছে এবং মিলের লিজ দেওয়া শতভাগ জমিতে আখ চাষ হচ্ছে বলে দাবি মিল কর্তৃপক্ষের।
ঠাকুরগাঁও সুগারমিল ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, আমরা আগামীতে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করবে। এবং ঠাকুরগাঁও সুগারমিলকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে।
প্রায় ২২৯ কোটি টাকার ঋণ এবং ৭১৬ কোটি টাকা লোকসান নিয়ে আগামী ডিসেম্বরে চলতি মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হবে বলে জানায় মিল কর্তৃপক্ষ।