গার্মেন্টসপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

লকডাউনে রপ্তানি বাড়ছে নিটের, ওভেন কমছে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গত জুনে শেষ হওয়া বিদায়ী অর্থবছরে ১ হাজার ৪০৪ কোটি ডলারের ওভেন পোশাকের রপ্তানি হয়েছিল। আর নিট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারের। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের ঘটনা পুরো উল্টো। ৪৬৪ কোটি ডলারের ওভেন পোশাকের বিপরীতে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫৮০ কোটি ডলারের।

কয়েক বছর ধরে ওভেন ও নিট পোশাকের রপ্তানি কাছাকাছি থাকলেও করোনাভাইরাস হিসাব ঘুরিয়ে দিয়েছে। করোনা-পরবর্তী রপ্তানি বাজারে ওভেনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে নিট।

কারণ হিসেবে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় দেশে দেশে লকডাউন জারি করা হয়। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, ভ্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ঘরের বাইরে পরার পোশাকের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যায়। বিক্রি না থাকায় বিদেশি ক্রেতারাও ক্রয়াদেশ কমিয়ে দেন। অন্যদিকে ঘরে পরার নিট পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিও বাড়তে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাস অর্থাৎ জুলাই-অক্টোবরে ৪৬৪ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে ৫৮০ কোটি ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।

সাধারণত নিটের তুলনায় ওভেন পোশাকের দাম বেশি। তাই নিটের ক্রয়াদেশ আগের তুলনায় বেশি এলেও তা দিয়ে ওভেনের জায়গা পূরণ সম্ভব না। তাতে সামগ্রিকভাবে পোশাকের রপ্তানি কমবে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ না এলে ওভেন পোশাককারখানাও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও নিটের চেয়ে ওভেন পোশাকে মূল্য সংযোজন কম। মানে ওভেন পোশাকের কাঁচামালের একটি বড় অংশ আমদানি করতে হয়। নিটের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশের বেশি কাপড় দেশীয় কারখানা জোগান দেয়।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close