প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা গিলে সাভারে এসে মলত্যাগ
বিশেষ কায়দায় গিলে ফেলে পেটে করে আনা হচ্ছে মাদকের চালান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুরোনো পন্থায় নতুন করে মাদক ঢুকছে সাভারে। বিশেষ কায়দায় গিলে ফেলে পেটে করে আনা হচ্ছে মাদকের চালান। পরে পায়ুপথে বের করে তা সরবরাহ করা হচ্ছে মাদকসেবীদের হাতে। সাভারে প্রথমবারের মত এমন একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার(০৬ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমিনবাজার ফাড়ির ইনচার্জ এসআই হারুন অর রশিদ। এর আগে দিবাগত গভীর রাতে আমিনবাজার চিশতিয়া পাম্পের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০৮ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
চক্রটির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৫০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট একসাথে করে কস্টেপ দিয়ে পেচিয়ে পোটলা বানানো হয়। সেই ২০ টি পোটলা গুলোকে একে একে কলার সাথে গিলে ফেলেন মাদকব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম (৩৮)। পরে নির্দিষ্ট স্থানে এসে মলত্যাগের মাধ্যমে বের করে আনেন সেই পোটলা গুলো। মূলত মাদকের চালানগুলো মিয়ানমার থেকে আসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এভাবেই মাদকের চালান নিয়ে এসেছে এই চক্রটি।
সাভারের আমিনবাজারে অভিযান চালিয়ে শফিকুলের সন্ধান পায় সাভার মডেল থানা পুলিশ। এসময় তার সঙ্গে আরেক মাদক ব্যবসায়ী বাবুল মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৮) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার দক্ষিণ লমরি গ্রামের মৃত তাইজুল ইসলামের ছেলে। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পেটের ভিতর করে ইয়াবার চালান এনে সাভারে বিক্রি করতেন। অপরজন হলেন- রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সোনাপুর গ্রামের মো.আজিজের ছেলে বাবুল মিয়া (৩৬)। বাবুল মিয়ার সহায়তায় শফিকুল মাদকের চালান এনে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তার দুই জনের মধ্যে একজন টেকনাফ থেকে মাদক আনার কাজ করতো। একই সাথে অপরজনের যোগ সাজশে সেগুলো বিক্রি করতেন।
এব্যাপারে এসআই হারুন ওর রশিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্যসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও শরিফুল ভাটারা থানায় ৫০০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়েছিল। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রতি ১০০ পিস ইয়াবা ৪ হাজার টাকায় কিনে এনেছে শরিফুল।
/আরএম