প্রধান শিরোনামস্বাস্থ্য
রোগ পরীক্ষায় হয়রানি হলে শাস্তি দিন: রাষ্ট্রপতি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাউকে হয়রানি করা না হয় সেদিকে সজাগ থেকে এ ধরনের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, “রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা অবশ্যই করতে হবে। তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে যাতে রোগীদের হয়রানি ও পকেট কাটা না হয়। চিকিৎসকদের আরো একটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বাজারে আসতে না পারে।”
রাজধানীতে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি আয়োজিত আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার কনফারেন্স ‘বাংলাকার্ডিও-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, “প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল চিকিৎসা ও রোগীকে হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের খবর বের হয়। রাজধানীর নামিদামি ক্লিনিক থেকে শুরু করে মফস্বলের কিছু ক্লিনিক এ অপকর্মের সাথে জড়িত। আবার কিছু ডাক্তারের অপকর্মের দায় চিকিৎসক সমাজের উপর পড়ে। এতে ডাক্তার-রোগীর আস্থার সম্পর্কে ফাটল ধরে। এসব ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে এবং দোষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে রোগীদের সচেতন করতে চিকিৎসকদের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
দেশে হৃদরোগের চিকিৎসা মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার উপায় খুঁজতে সম্মেলনে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে লোকবল কম থাকায় সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সরকার দেশে আধুনিক চিকিৎসা প্রবর্তনে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।”
চিকিৎসকদের নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “চিকিৎসা একটা মহৎ পেশা। চিকিৎসকরা হচ্ছেন মানুষের বিপদের দিনের বন্ধু। কারণ মানুষ বিপদে না পড়লে চিকিৎসকদের কাছে আসে না। চিকিৎসা এমনই একটা পেশা যেখানে অর্থ, যশ, সম্মান ও মানব সেবার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। তাই আপনারা এই সুযোগের অপব্যবহার করবেন না।
#এমএস