দেশজুড়েব্যাংক-বীমা
রেকর্ড গতিতে আসছে রেমিট্যান্স
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেড়েছে প্রবাসীদের আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ। করোনা সঙ্কটের মধ্যেও চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে ১৩৬ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসীদের আয় পাঠানোর এই গতি অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাবে বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ অচল হয়ে পড়ে। মার্চ-এপ্রিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে অনেক প্রবাসী। পরে মে মাস থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে বিশ্ব পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। অচলাবস্থা থেকে অনেক দেশ স্বাভাবিক হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়তে থাকে। এর ধারাবাহিকায় গত মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে ১৩৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ (বিনিময় হার ৮৫ টাকা) প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে একক মাস হিসেবে চলতি মাসে রেকর্ড ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে চলতি বছরের জুনে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করে বাংলাদেশ। তারও আগে একক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল গত বছরের মে মাসে।
এদিকে সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত অর্থবছরের মতো রেমিট্যান্স বাড়াতে চলতি অর্থবছরও এ খাতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণ, ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নতুন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টি এবং ওই বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে সরকার।
/আরএম