শিল্প-বানিজ্য
রিজার্ভে চাপ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পদক্ষেপ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: দিন যত যাচ্ছে রিজার্ভের ওপরে চাপ বাড়ছে। সম্প্রতি রিজার্ভে চাপ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন থেকে দেশের ব্যাংকগুলোতে প্রবাসী, বিদেশে বসবাসরত দ্বৈত-নাগরিকত্ব থাকা বাংলাদেশি ও বিদেশি কোম্পানির খোলা বৈদেশিক মুদ্রা আমানত অ্যাকাউন্টের সুদহারের কোনো সীমা থাকছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পদক্ষেপ অনুসারে, বিদেশি মুদ্রায় আমানত সংগ্রহে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে।
গতকাল রোববার (১৭ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আগে দুই বছরের রেকর্ড ভেঙে রিজার্ভের পরিমাণ ৪০ বিলিয়নের নিচে নেমে এলে গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রিজার্ভের ওপরে চাপ কমাতে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গৃহীত সিদ্ধান্তে দেশের ব্যাংকগুলো এখন তাদের আমদানির খরচ মেটাতে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে ঋণ নিতে পারবে। আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে এবং রফতানিকারকের রিটেনশন বা প্রত্যাবাসন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে জমা করা বিদেশি মুদ্রার ৫০ শতাংশ অনতিবিলম্বে নগদায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে এই কোটার হিসাবে নতুন করে জমা রাখার হার অর্ধেক করা হয়।
এদিকে কোনোভাবেই ডলারের দামে লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। দিন যত যাচ্ছে ডলারের দাম তত বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার (১৭ জুলাই) কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে দেশের ব্যাংকগুলোতে প্রবাসী, বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক ও বিদেশি কোম্পানির খোলা বৈদেশিক মুদ্রা আমানত অ্যাকাউন্টের সুদহার সীমা তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে বিদেশি মুদ্রায় আমানত সংগ্রহে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে।
নতুন এ সিদ্ধান্তের আগে এনএফসিডি (নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) নীতিমালা অনুযায়ী, এনএফসিডি আমানতের সুদহার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউরো মুদ্রার স্বীকৃত সুদহারের বেশি দিতে পারে না দেশি কোনো ব্যাংক। সাধারণত এ সুদহার ১ থেকে দেড় শতাংশে ওঠানামা করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারিকৃত নতুন নির্দেশনা বিদেশি নাগরিক, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও শতভাগ বিদেশি মালিকানার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া এনএফসিডি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
/এএস