বিনোদন
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য দিলীপকুমারের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চোখের জলে দিলীপকুমারকে বিদায় জানাল ভারতীয় সিনেমা জগত্। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হল দিলীপকুমারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার অংশ হিসেবেই গান স্যালুট দেওয়া হয় শিল্পীকে।
দিলীপকুমারের এক পারিবারিক ঘনিষ্ঠ একটি টুইট করে কিংবদন্তি অভিনেতার শেষকৃত্যের স্থান ও সময় সম্পর্কে সকলকে আগেই অবহিত করেছিলেন। দিলীপকুমারের শেষযাত্রায় অংশ নেন অগণিত মানুষ।
ভারতীয় সিনেমার ‘আইকন’ তথা অন্যতম ‘প্রতিষ্ঠান’ দিলীপকুমার আজ, বুধবার ৭ জুলাই সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রয়াত হন। ৯৮ বছরের অনন্য এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। এবং তাঁর এই শারীরিক সঙ্কটের পর্বে আগাগোড়া তাঁর পাশে থেকেছেন স্ত্রী সায়রা বানু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ নিকটজনেরা।
সকাল ১০টা নাগাদ দিলীপকুমারের মরদেহ হাসপাতাল থেকে তাঁর বাসভবনে আনা হয়। বহু বিখ্যাতজনই তখন কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে হাজির।
ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ প্রমুখ দিলীপকুমারের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন। সারা দেশের সিনেপ্রেমী মানুষ শোকার্ত।
দিলীপকুমার ও সায়রাবানু ১৯৬৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। দিলীপকুমার তখন ৪৪, সায়রা ২২। দীর্ঘ তাঁদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু এই লকডাউন-পর্বে সুস্থ ও নিরাপদ থাকার জন্য তাঁদের আলাদা থাকতে হচ্ছিল।
প্রায় পাঁচ দশকের ফিল্ম-জীবনে দিলীপকুমার ৬৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৯১ সালে দিলীপকুমার ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৯৪ সালে তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
দিলীপকুমাররের শেষকৃত্যের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল বলিউড তথা ভারতীয় সিনেমার একটি উজ্জ্বল যুগ। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার পাশাপাশি ভারতীয় ফিল্ম-লাভারের মনের মণিকোঠায় চিরকাল এক বিরল মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত থাকবেন এই অভিনেতা।