বিশ্বজুড়ে
রাশিয়া বেলারুশ ও ইরান বাদ : তীব্র নিন্দায় পিছু হটল নোবেল কমিটি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সমালোচনার পর নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোবেল কমিটি। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত বছর নোবেল কর্তৃপক্ষ সুইডেনে নিযুক্ত রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ না জানালেও এবার ‘বৈশ্বিক সমঝোতার স্বার্থে’ তাদের ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
নোবেল ফাউন্ডেশনের সিইও ভিদার হেলগেসেন সুইডিশ পত্রিকা এসভিডিকে বলেছেন, ‘নোবেল অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আসা প্রতিক্রিয়াগুলো আমাদের বার্তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’
সুইডেনের উগ্র-ডানপন্থী দল সুইডেন ডেমোক্রেটিক দলের নেতা জিমি অ্যাকেসনকেও গত বছর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তবে এ বছর সেই ধারার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছিলেন নোবেল ফাউন্ডেশন। এতে সমালোচনার ঝড় উঠলে নোবেল ফাউন্ডেশনের সিইও ভিদার হেলগেসেন তখন বলেছিলেন, ‘সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবে এটা ভেবে নেওয়া হয়েছিল যে আমরা একটি ক্রমবর্ধমানভাবে মেরুকৃত বিশ্বে বাস করছি। সব রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানানো এ জন্যই ভালো যে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সবার কাছে তুলে ধরা যাবে। সিদ্ধান্তটিকে যুদ্ধ, নিপীড়ন বা একনায়কত্বের সমর্থন হিসেবে দেখা উচিত নয়।
’গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল ফাউন্ডেশন তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তের পর সুইডেনসহ বহির্বিশ্ব থেকে যে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে তা আমাদের নজরে এসেছে। এই প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা আমাদের সিদ্ধান্তের পেছনে যে বার্তা ছিল তাকেও ছাপিয়ে গেছে।’
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, নোবেল ফাউন্ডেশন তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যাওয়ায় তিনি খুশি।
ক্রিস্টারসন এক দিন আগেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে। তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এলে এরই মধ্যে অনুষ্ঠান বয়কটের পরিকল্পনা করছিলেন সুইডেনের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা।