দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছরে হলো না কেন? প্রশ্ন সৈয়দা রিজওয়ানার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর যে ছায়া পড়েছে, দুই দেশের স্বার্থেই তা দূর করতে হবে। এ ছাড়া সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করেন তাহলে ৫৩ বছর তারা কি করলেন?
রাজধানীতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক সচেতনতামূলক ও চালক পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালাকে আইনে রূপান্তর করে গেজেট প্রকাশের ঘোষণার কথা জানিয়ে বলেন, ‘এই আইনের মাধ্যমে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। সচিবালয়ে হর্নের শব্দে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঢাকার পরিবেশ নরকে পরিণত হচ্ছে।’ গাড়িচালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাবুন হর্ন নষ্ট, বাজাবেন না। গাড়ির গতি কমালে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমবে।’
ঢাকার ১০টি এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সবাই সচেতন হলে শব্দ দূষণমুক্ত একটি বাসযোগ্য শহর গড়া সম্ভব।’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণ অভ্যূত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্য উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সামপ্রতিক আন্দোলনের প্রভাব আমরা অস্বীকার করতে পারি না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি রাজনীতিবিদেরাই সংস্কার করতে পারেন, তাহলে গত ৫৩ বছর তাঁরা কী করেছেন? রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দা মাছুমা খানম, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ওমর সাদাত, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং মহাসচিব সৈয়দ আহসান হাবীব।