ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে অবসরের গুঞ্জনটা বেশ পুরনো। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক। এরই মধ্যে শোনা গেল নতুন গুঞ্জন। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, ব্যাট-প্যাড তুলে রেখে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে যাচ্ছেন ধোনি।
কেবল তাই নয়। ভারতের গণমাধ্যম আরও দাবি করছে, দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিতে যাচ্ছেন ধোনি। তবে এই বিষয়ে ধোনি কিংবা বিজেপি কারও কাছ থেকে কোনোপ্রকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ধোনি সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। গত বছর বিজেপির দিল্লি শাখার সভাপতি মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ধোনির বাড়িতেও গিয়েছিলেন দলটির সভাপতি অমিত শাহ। এরপর থেকে ধোনির সঙ্গে মনোজ তিওয়ারি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ধোনির সঙ্গে।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিপির সভাপতি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ৮১টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৬৫টি আসনে জয় চায় বিজিপি। এজন্য দলটির বড় অস্ত্র হতে পারেন ধোনি, হতে পারেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে ধোনির সঙ্গে নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু ধোনি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সময় চাইছেন। ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা হিসেবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সেখানকার নতুন মুখ হতে পারেন তিনি।’
ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘অবসরের পর ধোনি কবে, কখন বিজেপিতে যোগ দেবেন এবং দলে তার ভূমিকা কী হবে সেসব আলোচনা করার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।’
রাজনীতিতে যোগ দিলেও আপাতত ধোনিকে কীভাবে ব্যবহার করবে বিজেপি, তা নিয়ে এখন নতুন জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিজেপির আরেক নেতা বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে ধোনি প্রার্থী হবেন, নাকি তাকে কেবল প্রচারের জন্যই ব্যবহার করা হবে, সেটি এখনো স্থির হয়নি।’
সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলে ধোনির এক সময়কার সতীর্থ গৌতম গম্ভীর। দিল্লি পূর্ব কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়ও পেয়েছেন তিনি। সাবেক এই ভারতীয় ওপেনারের মতো এবার ধোনির জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তবে ধোনি সে পথে হাঁটবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঝাড়খণ্ডে বিজেপির অবস্থান দিন দিন নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের সরকারের বিরুদ্ধে বেশ ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে ধোনির জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে ঝাড়খণ্ডে আবার বিজেপি শক্ত অবস্থানে চলে যাবে বলে মনে করছেন তারা।