বিশ্বজুড়ে
রাজধানী সড়িয়ে নিচ্ছে মিশর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কায়রো থেকে রাজধানী সরিয়ে নিচ্ছে মিশর। এখনকার রাজধানী কায়রো থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল প্রকল্পের এই নতুন রাজধানী। রাষ্ট্রীয় একটি কোম্পানি এই রাজধানী গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করছে।
২০২০ সালের মাঝামাঝি নতুন রাজধানী চালু হবে বলে আশা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা। বার্তা সংস্থা এপি’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে কানাডার অনলাইন দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল। এতে বলা হয়, মরুভূমির মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে ওই নতুন শহর। কোন মরুভূমি সেটা তার নাম রিপোর্টে প্রকাশ করা হয় নি। তবে যে কোম্পানিটি তা নির্মাণের কাজ পেয়েছে তার শতকরা ৫১ ভাগের মালিকানা সেনাবাহিনীর, বাকি ৪৯ শতাংশের মালিক দেশটির গৃহায়ণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সরকার বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা রাজধানী নতুন ওই শহরে স্থানান্তরিত করতে চায়। আগামী বছরের মাঝামাঝি তা সম্ভব হতে পারে। এ জন্য ৫৮০০ কোটি ডলারের বিশাল এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কিন্তু বেশ বড় রকমের অর্থ সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে এ প্রকল্পকে। বেশ কিছু বিনিয়োগকারী নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে দেখা দিয়েছে আরো চ্যালেঞ্জ। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাপিটাল ফর আরবান ডেভেলপমেন্ট নামের রিয়েল এস্টেট খাতের প্রধান মাগদি আমিন বলেছেন, এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৪০ হাজার ফেদান (১৬৮ বর্গকিলোমিটার) এলাকা। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়ে গেছে ১৭৫০০ ফেদান। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে আরো ৬০০০ ফেদান আমরা বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। বেশির ভাগ জমি বিক্রি করা হয়েছে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের কাছে।
এখন ওই প্রকল্পটিকে নাম দেয়া হয়েছে নিউ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাপিটাল। সরকার আশা করছে প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পর এর আয়তন হবে ৭০০ বর্গকিলোমিটার, যা প্রায় সিঙ্গাপুরের আয়তনের সমান। এখানে প্রথম দফায় কাজ সম্পন্ন হচ্ছে মন্ত্রণালয়গুলো, সরকারি ভবন, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক এলাকা এবং আবাসিক এলাকায়।
২০১৫ সালে অর্থনৈতিক এক সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল যে, রাজধানী কায়রোকে সরিয়ে নেয়া হবে। বর্তমানে এই রাজধানী ঐতিহাসিক নিল নদের পাড়ে অবস্থিত। সেখানে তীব্র যানজট। বসবাস করেন কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এর প্রেক্ষিতে এক বছর আগে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির প্রেসিডেন্সিতে এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, এই প্রকল্পে সরকারি ও অর্থনৈতিক খাতকে পরিচ্ছন্ন এবং কার্যকর একটি স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। সেখানে বসবাস করতে পারবেন কমপক্ষে ৬৫ লাখ মানুষ।
/আরএম