দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

রাজধানীতে ২২ কোম্পানির বাস চলবে ৪২ রুটে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর ২৯১ রুটে চালু থাকা গণপরিবহনগুলো ৪২ রুটে আনার কাজ চলছে। আর এসব রুটে আড়াই হাজার বাস মালিকের সমন্বয়ে গঠিত ২২ কোম্পানির সাড়ে চার হাজার বাস চলাচল করবে।

মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে এসব কথা জানান দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্ল‌্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে তার মতামত তুলে ধরেন।

ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, নগরবাসীর জন্য শৃঙ্খলা ও যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি কাজ করছে। কমিটির কাজের অগ্রগতিও অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা মালিক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ২৯১টি রুটকে কমিয়ে ৪২টি রুটে আনার প্রস্তাব করেছি। যেখানে ঢাকায় চলাচলরত সাড়ে ৪ হাজার গাড়ির ২৫০০ মালিককে ২২টি কোম্পানির অধীনে আনা হবে। এটা সম্পন্ন করতে পারলে যানজট অনেকটা কমে যাবে। পাশাপাশি ঢাকার পার্শ্ববর্তী শহর যেমন গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গাড়িগুলোর জন্য শহরের বাইরে করা হবে নির্ধারিত টার্মিনাল। যেখানে যাত্রী নামানোর পর আবার নিজ শহরে সেগুলো ফিরে যাবে। এতে যানজট কমবে, আবার শহরের বাড়তি চাপও কমবে।

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমাল উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।

ডিএসসিসি মেয়র আরো বলেন, ঢাকার দুই সিটিতে তিনটি টার্মিনাল আছে যা পর্যাপ্ত না, এতে অধিকাংশ গাড়িই রাস্তার ওপর অবস্থান করতে বাধ্য হয়। আমরা ঢাকায় ১০টি টার্মিনালের জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করেছি। এগুলো থেকে কয়টি টার্মিনাল হবে তার চূড়ান্ত প্রস্তাব আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে। জানুয়ারির পরবর্তী সভায় এটা নির্ধারণ হবে। তবে আমাদের কমিটির করা সব প্রস্তাব মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ে করা হবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close