তথ্যপ্রযুক্তি
রাইড শেয়ারিংয়ে সর্বপ্রথম নিবন্ধন পেল ‘পিকমি’
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। শর্তপূরণ সাপেক্ষে সবার আগে এ খাতে লাইসেন্স পেয়েছে ‘পিকমি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রথম লাইসেন্স পাওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন পিকমির বিজনেস অপারেশন্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম তারেক। তিনি জানান, অনলাইনে যথাযথভাবে আবেদন করেছিলেন এবং অনুমোদনের আগে ১০০ জন চালক ও বাহনের নিবন্ধনের বিস্তারিত জমা দিয়েছিল পিকমি।
আর বিআরটিএর পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলছেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম দিনে ‘পিকমি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। ১ জুলাই এই প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন পেয়েছে। বিআরটিএ–এর কাছ থেকে ২৪ জুন এ বিষয়ে অনুমোদন পেলেও রোববার সংশ্লিষ্ট ফি জমা দেওয়ার পর সরকারের দিক থেকে কোম্পানিটির সেবার অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হয়।
১৬টি প্রতিষ্ঠান কাগজে-কলমে বিআরটিএর কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। গত ২৬ জুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডাকা হয়েছিল। তাদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে এবং আবেদনের প্রক্রিয়াটিও দেখা হয়েছে। এরপর গতকাল একটি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করেছিল।
নিবন্ধন পাওয়া ‘পিকমি’ ছাড়াও রাজধানীতে উবার, পাঠাও, সহজ, ওভাইসহ অন্তত ২৫টি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান এবং কয়েক হাজার যানবাহন এই খাতের সঙ্গে যুক্ত। তবে এত দিন খাতটি কোনো আইনি কাঠামোর মধ্যে ছিল না। খাতটিকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে ২০১৭ সালে রাইড শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের জুনে। পরে সেটি ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়।
২০১৬ সালে দেশে প্রথম রাইড শেয়ারিং সেবা চালু হয়। প্রথম দিকে বিআরটিএ এই সেবার বিরোধিতা করে একে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে এবং এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে বিআরটিএ-এর অবস্থান বদলে যায় এবং তখনই সেটাকে একটা নীতিমালায় আনার কথা ওঠে। পরে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি রাইড শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়।