কৃষিশিল্প-বানিজ্য
রসালো ফলে ভরপুর বাজার, কমছে দাম
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আনারসসহ দেশি রসালো ফলে ভরপুর বাজার। দাম কমছে, বেচাকেনাও জমে উঠেছে।
রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, মতিঝিল, খিলগাঁও, মুগদাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মৌসুমি দেশি ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে। রাজধানীর পাড়ামহল্লা, রাস্তাঘাট, ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় সুপারশপ এখন রসালো ফলে ভরা। ভ্যানেও এ সব ফল বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ বাড়ায় বাজারে দেশি ফলের দাম কমতে শুরু করেছে। রাজধানীতে দেশি ফলের মধ্যে এখন বেশি মিলছে আম ও লিচু। রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে বিক্রেতারা ভ্যানে সাজিয়ে রেখেছেন আম ও লিচু। এছাড়া দেশি ফলের মধ্যে কাঁঠাল, কলা, জাম, আনারস, জামরুল, লটকন, গাব, বাঙ্গি, তরমুজসহ অন্য ফলও কমবেশি পাওয়া যাচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের ফল ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, এখন জ্যৈষ্ঠ মাস, আম-লিচু বেশি পাওয়া যাচ্ছে, দামও কম। ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, হিমসাগর ৮০-১০০ এবং আম্রপলি ৭০-৮০ টাকা। দেশি জাতের একশ লিচু ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চাইনিজ লিচু ৫০০ টাকা।
আম-লিচুর দাম কমেছে দাবি করে এ ফল ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহ যে লিচু তিনশ টাকা ছিল আজ তা বিক্রি করছি ২০০ টাকা। সব ধরনের আমের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর মুগদা এলাকায় ভ্যানে কাঁঠাল বিক্রি করছিলেন আলাউদ্দিন। দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় কাঁঠাল ৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের ২০০ থেকে ৩০০ এবং ছোট ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। বড় কাঁঠালের ওজন ৫ থেকে ৬ কেজি। মাঝারি আকারের ওজন চার কেজির মত।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মানভেদে ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০-১০০ টাকা, হিমসাগর ৭০-১০০, আম্রপালি ৬০-৮০, খিরসাপাতি ৫০ থেকে ৭০, গুটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
জাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, জামরুল ৫০ থেকে ৮০, সফেদা (কেজি) ১০০ থেকে ১৪০, লটকন ১৬০ টাকা কেজি। একশ লিচু (বড়) ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, আনারস আকারভেদে প্রতি পিস ১৫ থেকে ৬০ টাকা, কলা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ডজন, চায়না বাঙ্গি ৩০ থেকে ৮০ টাকা, বড় বাঙ্গি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, বেল প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা তাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা (প্রতি শাঁস ১০ টাকা)।
মতিঝিল এলাকায় লিচু কিনছিলেন কালাম হোসেন। তিনি বলেন, রোজায় দাম বেশি ছিল, এখন কিছুটা কমেছে। একশ লিচু কিনেছি ২০০ টাকা দিয়ে। তবে আমের দাম এখনও তেমন কমেনি দাবি করে এ ক্রেতা বলেন, ল্যাংড়া আমের দাম চাচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। এখন আমের মৌসুম, দাম এতো বেশি হবে কেন? ইচ্ছে মত দাম রাখে। তবে দোকানের চেয়ে ভ্যানে ফলের দাম কম। ভ্যানে যে আম ৬০-৭০ টাকা একই আম দোকানে ৯০-১০০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেশি বলে অভিযোগ করেন এ ক্রেতা।