স্বাস্থ্য
যে ৫টি নিয়ম শরীর সুস্থ রাখতে উপকারী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শরীর সুস্থ রাখতে আপানকে খুব বেশি সময় অপচয় করতে হবে না বরং কিছু নিয়মনীতি মেনে চললেই হবে। জেনে নিন এমন পাঁচটি নিয়ম_
১. খাদ্য তালিকায় থাকুক নানা রকমের খাবার: সুুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের ৪০ রকমের নিউট্রিয়েন্টসের দরকার হয়। কোনো একক খাবার তা দিতে পারে না। তাই সুষম খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত ভারি খাবার দুপুরের খাবার তালিকায় থাকলে রাতের খাবার সারতে পারেন অল্প তেলে রান্না করা খাবারে। আগের রাতে মাংসটা একটু বেশি খাওয়া হলে পরের দিনের তালিকায় মাছ রাখুন।
২. ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখুন: ডায়েটের অর্ধেকের বেশি ক্যালরি আসা উচিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন সেরেল, পাস্তা, ভাত ও রুটি থেকে । প্রতিবার খাবার সময় এদের যেকোনো একটি থাকলে ভালো। পূর্ণ দানা থেকে তৈরি রুটি, সেরেল, পাস্তা আঁশ জাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভরা খাবার খান: চর্বি বা ফ্যাট সুস্বাস্থ্য এবং দেহকে ঠিকঠাকভাবে কাজ করানোর জন্য বেশ জরুরি। কিন্তু এর বাহুল্য ওজন ও হৃদধমনীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফ্যাটের ভিন্নতা ভেদে স্বাস্থ্যের উপর রয়েছে এর ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব এবং এরকম কিছু টিপস আমাদের সঠিক ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করবে।
আমাদের অপ্রক্রিয়াজাত বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট (যা প্রাণিজ খাবার থেকে পাওয়া যায়), যা সহজে হজম হয় না ও শরীরে জমতে থাকে, এমন খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ট্রান্স ফ্যাট বা অপ্রক্রিয়াজাত চর্বি একেবারে খাওয়া উচিত না। খাবারের গায়ে লেবেল পড়লেই এসম্পর্কে জানা যাবে।
সপ্তাহে ২/৩ বার মাছ এবং কমপক্ষে একবার তৈলাক্ত মাছ খাওয়া আমাদের সঠিক মাত্রায় আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণে ভূমিকা রাখবে। ভাজাভুজির বদলে সেদ্ধ, ভাপা বা বেক করা খেতে চেষ্টা করুন। মাংসের চর্বি জাতীয় অংশ ফেলে দেবেন এবং ভেজিটেবল অয়েলে রান্না করুন।
৪. প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান: ফল ও শাকসব্জি থেকে আমরা খনিজ, ভিটামিন ও আঁশজাতীয় খাবার পেয়ে থাকি। দিনে ৫ বার আমাদের এসব খাওয়া উচিত। যেমন: সকালের নাশতায় থাকতে পারে এক গ্লাস জুস অথবা একটি আপেল বা এক ফালি তরমুজ। অন্যান্য বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নানা জাতীয় সবজি।
৫. লবণ ও চিনি কম খান: বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়বার সাথে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। লবণ খাওয়া কমাতে কম সোডিয়াম আছে এমন খাবার কিনুন। রান্নায় লবণের বদলে নানা ধরণের ও স্বাদের মশলা ব্যবহার করুন এবং খাবারের টেবিলে লবণদানি না রাখাই ভালো।