দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
যে সকল বীররা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের মনে রাখতে হবে: সেনাপ্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদক: গুণীদের গুণগান না গাইলে গুণী তৈরি হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। যে বীররা আমাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, তাদেরকে আমাদের মনে রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে আশুলিয়ার খেজুরটেক এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্থায়নে তৈরি সেনাপল্লীতে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় দেশে ও জাতিসংঘ মিশনে সক্রিয় দায়িত্ব পালনকালে জীবন উৎসর্গকারী সেনাদের পরিবারের মাঝে ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান।
এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর এমন একটা চাকরি যাকে আমরা বলি জীবনযাত্রা। সেনাবাহিনীতে আমরা যখন যোগদান করি, আমরা জীবন উৎসর্গ করার ব্রত নিয়েই যোগদান করি। যারা দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করবেন, তাদের জন্য অবশ্যই আমাদের কিছু করতে হবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের সীমাবদ্ধতার ভেতর থেকেও কর্তব্যরত অবস্থায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার।
অনুষ্ঠানে ১৪ শহীদ সেনা সদস্যের পরিবারকে একটা করে ফ্ল্যাট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হকসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও সাভার সেনানিবাসের সকল অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ ও গণমাধ্যমে ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএনসিসির সেন্ট্রাল ক্যাম্পিং ২০২২-২৩ সাভারের বিএনসিসি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেন্ট্রাল ক্যাম্পিংয়ের সমাপানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান। সেখানে শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট ও রেজিমেন্টের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি। পরে বিএনসিসির ক্যাডেটদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিএনসিসির ক্যাডেটরা নিজেদের আরো সমৃদ্ধ করবে যা তাদের দেশসেবার কাজে লাগবে। এ সময় করোনাকালীন সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের জনগণের জন্য খাদ্য, চিকিৎসাসহ নানাবিধ সহযোগিতার জন্য বিএনসিসির সদস্যদের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।
এছাড়া সকালে সদর দপ্তর ৯ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সাভার সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাপ্রধান। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০টি পদাতিক ডিভিশন, পাঁচটি স্বতন্ত্র ব্রিগেড, লজিস্টিক এরিয়া এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডসহ সর্বমোট ১৭টি দল অংশগ্রহণ করে।