বিশ্বজুড়ে
যে কারণে মেয়েকে নিয়ে কবরে ঘুমান বাবা!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সন্তান প্রতিটি বাবা-মায়ের জন্যই সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ দান। সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনা প্রত্যেক পিতার জন্যই সবচেয়ে সুখের এবং আনন্দের মুহূর্ত। সন্তান পৃথিবীতে আসা মানেই বাবার জীবন সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া।একজন বাবা ও মেয়ের মধ্যে সম্পর্কটা হয় একদম আলাদা। তাদের মধ্যে অটুট ভালোবাসা থাকে। গড়ে ওঠে বিশ্বাসের সম্পর্ক। মেয়ের যত বায়না বা আবদার সব বাবার কাছেই থাকে। আর বাবা থাকে মেয়ের ইচ্ছা পূরণের দৈত্য। কারণ একজন বাবাই তার মেয়েকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।
মৃত্যু প্রত্যেকের জন্যই কষ্টের। আপনজনকে হারানোর বেদনাও অধিক। আর যদি আগে থেকেই জানা যায়, তার সব থেকে প্রিয় মানুষটি তাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে যাবে। তবে তা মেনে নেয়া ভীষণ কষ্টের। ভেবে দেখুন, যদি একজন বাবা তার মেয়ের মৃত্যুর সময় আগে থেকেই জানে তাহলে তার মনের কি অবস্থা হবে?
চীনের সিচুয়ান প্রদেশের ঝাঙ্গ ঝিনলেই গ্রামের কৃষক লিয়াং। তার একটি দুই বছরের ছোট মেয়ে আছে। যাকে সে ভীষণ ভালবাসেন। তবে তার মেয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। ডাক্তার বলেছেন যে, মেয়েটি বেশিদিন বাঁচবে না। তারপর থেকে, লিয়াং তার মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন কবরে ঘুমায় এবং তার সঙ্গে সেখানে খেলে।
এমন না যে লিয়াং-এর থাকার কোনো ঘর নেই। তবুও সে মেয়েকে নিয়ে কবরেই ঘুমায়। এভাবে প্রতিদিন বাবা তার মেয়েকে কবরস্থানে বেঁচে থাকা শেখায়। বাবা হিসেবে এই কাজটি করা তার জন্যে অনেক কষ্টের। তারপরও সে এই কাজটি করে। যাতে নিজেও মেয়ের কষ্টের ভাগীদার হতে পারেন।
মেয়েটি গত এক বছর ধরে লিয়াং-এর সঙ্গে কবরে বাস করা শিখছে। এটি একজন বাবার জন্য খুব যন্ত্রণাদায়ক মুহূর্ত। শিশুটির চিকিৎসাকরা বলেছেন, মেয়েটির রক্তের কোষ সঠিকভাবে কাজ করছে না। আরও জানান, এই ধরনের অবস্থায় মেয়েটি সর্বোচ্চ এক বছর বেঁচে থাকবে।এমন অনেক রোগ আছে যার কোনো চিকিৎসা হয় না। যতই টাকা-পয়সা থাক না কেন সেইসব রোগগ্রস্ত রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হয়। আমাদের দেশেও প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে। চীনেও এর ব্যতিক্রম নয়।
/এন এইচ