বিনোদন
মৌসুমীর সঙ্গে ৩ নায়কের ভোট যুদ্ধ, জিতবে কে?
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট যুদ্ধে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন মিশা সওদাগর, মৌসুমী, জায়েদ খান ও ডি এ তায়েব।
নির্বাচন সামনে রেখে এখন পুরোদমে সরগরম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) প্রাঙ্গণ। আগামী ১৮ অক্টোবর চলচ্চিত্রশিল্পীদের নির্বাচন হবে।
গত বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার ভোটারের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে বর্তমান কমিটি। এর আগে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ড গঠিত হয়েছে।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খান জানান, শুক্রবার এবারের খসড়া ভোটার তালিকায় মোট ৪৪০ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।যারা বাদ পড়েছেন তারা রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। ওই দিনই বিকেল ৫টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন জ্যেষ্ঠ নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বড় চমক চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ইতিমধ্যে সভাপতি পদপ্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শিল্পী সমিতির ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী সভাপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন।
বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক দুজনই নিশ্চিত করলেন তারা আবারও এক প্যানেলে থেকে একই পদে নির্বাচন করছেন। আরেকটি প্যানেলের কথা শোনা গেল শুক্রবার; মৌসুমী-তায়েব।
এ বিষষটি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা ডি এ তায়েব। তিনি বলেন, মৌসুমী ও তিনি একই প্যানেলে নির্বাচন করবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এবার মৌসুমী–তায়েব প্যানেলটি হবে তারকাবহুল। বেশ কিছু চমক থাকবে এ প্যানেলে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক সমিতির স্থায়ী সদস্যরা সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আগামী ২ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।
৩ অক্টোবর বিকেল ৫টায় প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ অক্টোবর। ওই দিনই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে।
গত ২৪ মে সমিতির দুই বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সমিতির গঠনতন্ত্র ৮ অনুচ্ছেদের (চ) অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা।
/আরকে