ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আমরা সারাদিনই কোনও না কোনভাবে মোবাইল ফোনে আটকে থাকি। বর্তমান সময়ে ছোট-বড় সবার হাতে হাতেই চলে মোবাইল ফোনের কারবার। মানুষ মোবাইল ফোনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। কোমলমতী শিশুরা খেলাধুলা ফেলে মোবাইল নিয়েই পড়ে থাকে। যে বয়সে তাদের অন্যান্য বই ও দুষ্টুমি করে সময় কাটবে সে সময় তারা মোবাইল ফোনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গেমস নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকে। এতে করে বড় মানুষের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে নানা রকমের রোগে। আসুন জেনে নেয়া যাক, মোবাইল ফোনে আপনি কী ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
ক্যান্সার
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোবাইল থেকে বের হওয়া রেডিওফ্রিকোয়েন্সির ফলে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। এর থেকে ক্যানসারও হতে পারে।
হার্টের সমস্যা
মোবাইল থেকে বেরনো ক্ষতিকর রশ্মি পাকাপাকিভাবে হার্টের সমস্যা তৈরি করে। ফলে বুক পকেটে কখনও মোবাইল রাখবেন না। এবং হার্টের সমস্যা হচ্ছে বুঝলে অবহেলা করবেন না।
বন্ধ্যাত্ব
মোবাইল রশ্মি বিকিরণের এটি অন্যতম ক্ষতিকর দিক। মোবাইল ফোনের ব্যবহারে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। ফলে সন্তানের জন্ম দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
শ্রবণ দুর্বলতা
মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শ্রবণ শক্তি পুরোপুরি নষ্ট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাই। মোবাইলের তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অন্তরঙ্গতা কানে শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
চোখের সমস্যা
এখনকার দিনে আমরা অনেকেই সারাদিন কম্পিউটার অথবা মোবাইলে কাজ করি। বেশিক্ষণ মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের সমস্যা হতে বাধ্য। কমবয়সেই মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে উঠতে পারে আপনার।
ঘুমের ব্যাঘাত
কেন রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে বুঝতে পারছেন? মোবাইল নিয়ে সারাদিন ঘাঁটতে থাকাই এর প্রধান কারণ। মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ঘাঁটা, বিশেষ করে রাতে শুয়ে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে শরীরে নানা ধরনের অসুখ বাসা বাধে।
দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ায়
মোবাইল ব্যবহার করতে করতে কাজ করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। গাড়ি চালাতে চালাতে অথবা রাস্তা পার হতে গিয়ে কখনও মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়।
/এন এইচ