প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

মেলায় রঙ্গিন প্রজাপতির দেখা না মিললেও, জাবিতে প্রকৃতিপ্রেমীর ভিড়

জাবি প্রতিবেদক: উত্তরের হিমেল হওয়া শীতের তীব্রতায় গাছের আড়ালে পাতার রংয়ে লুকিয়েছে অভিমানি প্রজাপতিরা। রঙ্গিন পাখা মেলতে নারাজ, শীতের বৈরিতায় উড়তে আলসামি। চুপ থাকতেই যেন আজ পছন্দ তাদের। তবে প্রজাপতির মান ভাঙ্গাতে কুয়াশার সকাল ভেঙ্গে রাজধানীসহ নানা প্রান্ত থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজাপতি মেলায় ছুটে এসেছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার দিনভর ছিলো প্রজাপতি মেলা। শৈত প্রবাহের দাপটে রঙ্গিন প্রজাপতির দেখা না মিললেও ব্যতিক্রমী এই উৎসবে ছিল চিত্রাঙ্কন, প্রর্দশনী, ছবি আঁকাসহ নানা আয়োজন। উৎসবকে ঘিরে দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয় সবুজ ক্যাম্পাসে।

ছবি: প্রজাপতির মেলার উদ্বোধন করেন জাবির জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার হাওলাদার

শিশু কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে সূয ঢাকা সুবজ ক্যাম্পাস। প্রতিবছরের মত প্রাণীবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১০ম বারের এই পালিত হয় প্রজাপতি মেলা। শীতের প্রভাবে কিছু দেরি হলেও দুপুর ১২ টায় উদ্বোধন হয় এই মেলার। দিনব্যাপী এ মেলায় ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে এ মেলায় নানা প্রজাতির প্রজাপতি প্রদর্শিত হয়েছে। দেয়া হয় ‘ইয়াং বাটারফ্লাই এনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড’।

দর্শনার্থীরা জানান, রঙ্গিন প্রজাপতির রঙের জাদু কম দেখা গেলেও আনন্দের কমতি নেই। সবাই মিলে প্রজাপতি দেখার চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে প্রকৃতির সাথে স্মৃতি অ্যালবামে ক্যামেরাবন্দি করেছি নিজেদের।

বাবার কোলে, মায়ের হাত ধরে প্রজাপতি খোঁজে কৌতুহলি শিশুরা। প্রকাশ করছে ভালোলাগার কিছু অনুভূতি।

জাবি’র প্রজাপতি মেলার আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, শীতের দাপট ও আলোহীন আকাশের কারনে প্রজাপতির দেখা নেই, পাশাপশি প্রজাপতির সৌন্দর্য ছাড়াও পরাগায়নের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা পালন করে। তাই প্রজাপতি সংরক্ষণে মানুষকে আরো সচেতনতা তৈরি করতেই এ মেলার আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close