বিনোদন
মেকআপ রুমে অভিনেত্রীর মরদেহ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ভারতের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার (২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মুম্বাইয়ে সিরিয়ালের শুটিং সেটে নিজের মেকআপ রুম থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে স্তম্ভিত সহকর্মীরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, বিকেলে অভিনেত্রীকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখা যায় শুটিং সেটে। এর পরই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মারা গেছেন তুনিশা। তুনিশার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মহারাষ্ট্রের ভিওয়াড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তুনিশা। ‘ভারত কা বীর পুত্র: মহারানা প্রতাপ’ সিরিয়াল দিয়ে শুরু। ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই-কাবুল’-এ রাজকুমারী মরিয়মের ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন তিনি। তার আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত গোটা ইন্ডাস্ট্রি।
হিন্দি টেলিভিশন দুনিয়ায় তুনিশার হাতেখড়ি ২০১৫ সালে। ‘মহারানা প্রতাপ’ ধারাবাহিকে চাঁদ কাঁওয়ারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়া, ‘চক্রবর্তী অশোক সম্রাট’ ধারাবাহিকে রাজকুমারী অহংকারার চরিত্রে জনপ্রিয়তা পান তুনিশা।
২০১৬ সালে বলিউডে অভিষেক হয় তুনিশার। অনেকে বলেন, তার সঙ্গে ক্যাটরিনার মুখের মিল রয়েছে। ‘ফিতুর’ ছবিতে তার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন তুনিশা।
শুধু টেলিভিশন সিরিয়ালে নয়, ‘ফিতুর’, ‘বার বার দেখো’, ‘কাহানি ২’, ‘দুর্গা রানি সিংহ’, ‘দাবাং ৩’-এর মতো ছবিতেও তুনিশাকে দেখা গিয়েছিল। ‘ফিতুর’ এবং ‘বার বার দেখো’তে ক্যাটরিনা কাইফের শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কালারস টিভিতেও তার সিরিয়াল ‘ইন্টারনেট ওয়ালা লাভ’ দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
এরপর থেকে একাধিক হিন্দি ধারাবাহিকে কাজ করতে দেখা গেছে তুনিশাকে। টেলি দুনিয়ায় তার কাজ যথেষ্ট প্রশংসা পায়। ক্যারিয়ার যখন মধ্যগগনে, তখন তার আচমকা মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনুরাগীরা। মৃত্যুর কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
তুনিশার ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, অভিনেত্রী ছিলেন অত্যন্ত হাসিখুশি। তার কোনও কথায় কখনও মানসিক অবসাদের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তিনি যে এভাবে চলে যাবেন, ভাবতেও পারেননি কেউ।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও তুনিশার ইনস্টাগ্রামে ছিল ইতিবাচক ছোঁয়া। নিজের একটি ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন, ‘যারা প্যাশন দ্বারা চালিত হন, তাদের কখনও থামানো যায় না।’ ৭ ঘণ্টা আগে এটাই তুনিশার শেষ পোস্ট।
শেষ পোস্টে কী বার্তা দিতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী? নানা জনে তার নানা অর্থ করছেন। কোনও অদৃশ্য রশির টানে কি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছিলেন তুনিশা? ওঠেছে সেই প্রশ্নও।