শিল্প-বানিজ্য
মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আইএমএফের ঋণের কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: রেকর্ড হারে বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। অনেকেই বলছেন, আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল শনিবার (৬ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আইএমএফের কোনো কিছুর সম্পর্ক নেই।
আইএমএফের শর্ত না হলে কেন বাড়ানো হলো জ্বালানি তেলের দাম–জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার নয়, এ সিদ্ধান্ত আসে বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। আমদানি করতে হয় বলে বেড়েছে আমাদের দেশেও। আশার কথা, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে।’
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার পরও কেন দেশীয় বাজারে দাম বাড়ল–এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে মাত্র জ্বালানি তেলের দাম কমা শুরু হয়েছে, যার প্রভাব দেশীয় বাজারে এখনো পড়েনি। দেশীয় বাজারে কম দামের তেল এলে সমন্বয়ের চিন্তা করা হবে বলে জানান তিনি।
হঠাৎ দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করে জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধটাও তো হঠাৎ লেগেছে। এ যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব আজ ক্ষতিগ্রস্ত।
মূল্যস্ফীতির এ বাজারে দাম বৃদ্ধি কতটা যৌক্তিক–এ প্রশ্নের মুখে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সব দেশেই এর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) বেশি দাম দিয়ে তেল কিনতে হয়েছে। তেলের দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব থেকে কেউ বাইরে নয়, আমরাও নই।’
বিগত সাত বছরে বিপিসির ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, লাভ করলেও পরে বেশি দাম দিয়ে তেল কিনতে হয়েছে। তখন লোকসান গুনতে হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বিশ্ববাজারে সব পণ্যের দামই নিম্নমুখী, নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এর সুবিধা পাবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) মধ্যরাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোল ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং অকটেন ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
/এএস