বিশ্বজুড়ে
মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করলেন জো বাইডেন
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সাতটি দেশের ওপর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার তিনি শপথ নেয়ার পরপরই এ বিষয়ক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। একইসঙ্গে তিনি কমপক্ষে ১৫টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার শপথ নেয়ার কিছু সময় পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওভাল অফিসে ছুটে যান। সেখানে তার পাশে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। ওভাল অফিসভর্তি সাংবাদিকদের সামনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু নীতি পরিবর্তনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এক্ষেত্রে তিনি প্রথম গুরুত্ব দিয়েছেন চলতি মহামারি এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে।
শপথ নেয়ার পর যেসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তার মধ্যে রয়েছে ফেডারেল প্রপার্টিতে এবং ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কোভিড ইস্যুতে সমন্বয় রক্ষার জন্য হোয়াইট হাউজে একটি নতুন অফিস স্থাপন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিতকরণ। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবার নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত করার বিষয়ে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। দ্রুততার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলার একটি আদেশ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কিস্টোন এক্সএল তেলের পাইপলাইন স্থাপনে সাবেক প্রেসিডেন্টের যে অনুমোদন ছিল তা বাতিল করেছেন তিনি। এই পাইপলাইনটি বহুল বিতর্কিত। এ ছাড়া মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে তহবিল সংগ্রহ নিয়ে ট্রাম্প যে জরুরি ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিল করেছেন বাইডেন। তিনি অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানে একটি নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, তাও বাতিল করেছেন তিনি।
এসব আদেশে স্বাক্ষরের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, নষ্ট করার মতো সময় নেই হাতে। আমি যেসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছি তা কোভিড সঙ্কটের গতি পরিবর্তনে সহায়ক হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এমন এক উপায়ে আমরা লড়াই করতে যাচ্ছি, যা এ পর্যন্ত করা হয় নি। আমরা জাতিগত সমতায় কাজ করবো। এ ছাড়া যেসব সম্প্রদায় অবহেলিত রয়েছে তাদের জন্যও কাজ করবো। এসবই হলো আমাদের সূচনামাত্র।
শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানেই বাইডেন বলেছেন, ‘বিশ্ববাসী আমাদের সবাইকে আজ দেখছে। আমেরিকা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে এবং আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা আমাদের চুক্তিগুলোতে আবারও ফিরে যাব এবং বিশ্বের সঙ্গে আবারও সংযুক্ত হব।’
/এন এইচ