বিনোদন
মুক্তিযুদ্ধের অসাধারণ এক প্রতিচ্ছবি ‘শ্যামল ছায়া’
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের যাত্রাপথে যখনই দেখা পেয়েছেন সাধারণ বাঙালিদের, তখনই পেয়েছেন তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, অসুস্থ হলে সেবা পেয়েছে পরম আন্তরিকতায়। এ রকম একটি অখ্যান নিয়ে প্রখ্যাত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘শ্যামলছায়া’।
২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে যুদ্ধকালীন কিছু বিশেষ দিক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জীবন বাঁচাতে নৌকায় করে পালিয়ে বেড়ানো কয়েকজন মানুষের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ও তাদের যাত্রাপথের এক মন জুড়ানো গল্প নিয়েই এই চলচ্চিত্র।
এটা শুধুই অকুতোভয় কিছু মানুষের গল্প, সময়ে সময়ে যারা ভীতও হন। নিরাপদ আশ্রয় খোঁজা আর প্রতিরোধ তৈরি করা এই দুই শ্রেণীর মানুষই এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়।
২০০৬ সালে ‘সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র’ বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এর জন্য বাংলাদেশ থেকে নিবেদন করা হয়েছিল। সিনেমাটির বিশেষত্ব হচ্ছে, সরাসরি যুদ্ধের দৃশ্য না দেখিয়েও এতে যুদ্ধের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মূল চরিত্রে ছিলেন হুমায়ূন ফরিদী, মেহের আফরোজ শাওন, শিমুল, রিয়াজ, স্বাধীন খসরু, সৈয়দ আক্তার আলী, তানিয়া আহমেদ, এজাজুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
একদিকে কিছু মানুষ হানাদার পাকবাহিনীর অত্যাচার, নৃশংসতা থেকে নিরন্তর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছে, অন্যদিকে কিছু মানুষ অসীম সাহসিকতায় পাল্টা হামলা করছে পাকিস্তানিদের। মূলত এ দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রটি এগিয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ তার যাদুকরি গল্প বলার ক্ষমতা এই চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের মানুষের চরিত্রই এঁকেছেন।