শিল্প-বানিজ্য
মিশরের পারমাণবিক কার্যক্রমে রাশিয়ার বিনিয়োগ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রথমবারের মতো মিশরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে রাশিয়ার রোজাটম কোম্পানি। নতুন এ প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে ৩০ বিলিয়ন ডলার। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালের মধ্যে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোজাটম মিশরে ‘এল দাব্বা’ নামে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহেই রোজাটমের প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর নিশ্চিত করা হয়। খবর আরটির।
এ ব্যাপারে রোজাটমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলেক্সি লিখাচভ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা মিশরে কোনো পারমাণবিক কল্যাণমুখী কাজ চালাচ্ছি। এর মাধ্যমে মিশর পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো।’
মিশরের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী মোহামেদ শাকার বলেন, ‘মিশরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের। করোনার পরবর্তী সময়ে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ছাড়া আমরা কাজ চালিয়ে যেতে পারছি। এটি একটি ঐতিহাসিক প্রকল্প।’
মিশরের উত্তর উপকূলে, কায়রো থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এল দাব্বা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপিত হচ্ছে। রোজাটমের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আফ্রিকা মহাদেশে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় প্রকল্প।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে চারটি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর থাকবে ও কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট।
সম্প্রতি প্রকল্পটি নিয়ে মিশর ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ৮৫ শতাংশ ব্যয় বহন করবে রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া মিশরকে ৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। প্রকল্পের বাকি টাকা আসবে করপোরেট বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।
চুক্তির শর্তানুসারে, রোজাটম ৬০ বছর ধরে রাশিয়াকে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করবে। এছাড়াও পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরগুলো চালনা, মেরামত ও আনুষঙ্গিক কাজে প্রতিটি রিঅ্যাক্টরের জন্য ১০ বছরের সুবিধা দেবে রাশিয়া।
ইতোমধ্যে রাশিয়ার সেন্ট-পিটারসবার্গে এল দাব্বার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রেনিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বিগত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত চলছে ট্রেনিং। রোজাটম বলছে, তাদের লক্ষ্য কাজ শেষ হওয়ার আগেই ১ হাজার ৭০০ কর্মীর প্রশিক্ষণ শেষ করা।
/এএস