দেশজুড়ে

মিলছে না খালেদা জিয়ার পাসপোর্টও

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না এমন মতামত দেওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট তৈরির উদ্যোগও বন্ধ হয়ে গেছে। পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করা হলেও তাঁর পাসপোর্টও মিলছে না বলে ঈঙ্গিত পাওয়া গেছে। আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তুতিও বাতিল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় গিয়ে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার আবেদন জমা দেন। ওই রাতেই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। দেখা হয় তার পাসপোর্টের মেয়াদের কী অবস্থা। দেখা যায়, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ চলে গেছে ২০১৯ সালে। মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো পাসপোর্টে অন্য কোনো দেশের ভিসা পাওয়ার সুযোগ নেই। ভিসা ছাড়া যেতেও পারবেন না। এ কারণে তার পাসপোর্টটি নবায়ন করে দেওয়ার উদ্যোগও নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখে, যদি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক মতামত পাওয়া যায় তাতে করে দ্রুত পাসপোর্ট করে দেওয়া হবে। বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী নবায়নের ক্ষেত্রেও পাসপোর্ট গ্রহীতাকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হয়। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে সেটিও শিথিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাতে বিদেশে পাঠানোর আবেদন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ব্যাংকে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়া হয়। এরপর ওই দিন সন্ধ্যার পর আবেদন পাঠানো হয় আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে। পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি করে দেওয়ার জন্য। পরদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা। অবশেষে আজ দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে বিদেশে পাঠানোর আইনগত সুযোগ নেই। এ মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগের মতো ভেস্তে যায় পাসপোর্ট তৈরির কাজটিও।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ খবর পাওয়ার পরপরই পাসপোর্ট অফিসের প্রস্তুতিও বাতিল করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অগামী ১৬ মে পর্যন্ত পাসপোর্ট অফিস বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে পাসপোর্টের কোনো কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থায়ও বিশেষ ব্যবস্থায় খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। তিনি আরো বলেন, সাজাপ্রাপ্ত কারো পাসপোর্ট করে দেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। তবে নির্বাহী আদেশে করা যেতে পারে। তার পাসপোর্ট করে দেওয়ার ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত নির্বাহী আদেশ না যাওয়ার কারণে তার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়নি। আপাতত তার পাসপোর্ট নবায়ন হচ্ছে না। পরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তখন বিষয়টি দেখা যাবে।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

95 % ľudí Ako sa zbaviť neustáleho zmračenia zrkadla: overené tipy a triky Nájdu chybu na obrázku za 4 sekundy: náročná hádanka Rozhodne génius: riešenie náročnej hádanky za 8 Ako predĺžiť trvanlivosť vody v plastových fľašiach: rady pre Emoji filmy: Identifikujte 3 rozdiely medzi kresbami muža Kurací vývar: recept Optická ilúzia: Papagáj je schovaný, ale 5
Close
Close