ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে থেকে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিগগিরই অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে সংস্থাটি।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, করোনাকালে এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এর আগে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারী শুরুর সময় এসব সামগ্রী ক্রয়-প্রক্রিয়া শুরু হয়। টেন্ডার হয়। এগুলো খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
কমিশনসূত্রে জানা গেছে, কমিশন সার্বিকভাবে এসব কেনাকাটার বিষয়গুলো অনুসরণ করছিল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তদন্তসম্পন্ন করেছে। এখন বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এর পরই পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসবে এবং এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাস্ক বা পিপিইর মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী যা চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই এসব অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটার দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এন-৯৫ এর মোড়কে করে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ। সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তারা এন-৯৫ মাস্কের কোনো কার্যাদেশ জেএমআইকে দেয়নি। পরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।
/আরএম