দেশজুড়ে

মামলায় নাম নেই ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই এসআই’র

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে যশোরের শার্শায় পুলিশের সোর্সসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার  রাতে শার্শা থানায় এ মামলা হয়। এরআগে সোমবার রাতে ওই নারীকে স্থানীয় গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মকর্তা সোর্সদের নিয়ে গণধর্ষণ করেছে বলে মঙ্গলবার হাসপাতালে এসে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তবে মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনিসহ এলাকার মানুষ।

গত ২৫শে আগস্ট রাতে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে স্থানীয় গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খায়রুল। টাকা না দেয়ায় ৩০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে তাকে ওই রাতেই আটক করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার ৯ দিন পর গত সোমবার গভীর রাতে এসআই খায়রুল, সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামারুলসহ ৪/৫ জন ওই বাড়িতে গিয়ে আটক ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিলে মামলা নরমাল করে দেবে বলে জানায় দারোগা খায়রুল।

গভীর রাতে ওই নারী দরজা না খুলতে চাইলেও তারা তাকে দরজা খুলতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে এসআই খায়রুল ও সোর্স কামারুল জোর করে ঘরে ঢুকে বাকিদের পাহারায় রেখে ২ সন্তানের জননী ওই নারীকে গণধর্ষণ করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলেও ততক্ষণ ধর্ষকরা সরে পড়ে। এলাকাবাসীর পরামর্শে প্রথমে থানায় না গিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে পরের দিন মঙ্গলবার ২৫০ শয্যা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওই নারী ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। বিষয়টি জানার পর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। পুলিশ সুপার ওই নারীর অভিযোগ শোনেন এবং পরে তাকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। একই সঙ্গে বিষয়টি সরেজিমন তদন্তের জন্য একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পাঠান এসপি মঈনুল হক।  এক পর্যায়ে অভিযুক্ত দারোগা ও অভিযোগকারী নারীকে মুখোমুখি করে পুলিশ সুপার দ্বিতীয় দফায় ঘটনাটি জিঙ্গাসাবাদ করেন।

এদিকে, পুলিশ ঘটনাটি হস্তক্ষেপ করার পর মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সোর্স কামারুল, লতিফ ও আবদুল কাদের ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করে শার্শা থানা পুলিশ। তবে আসামির তালিকায় নাম নেই প্রধান অভিযুক্ত এএসআই খায়রুলের। তবে তাকে তার কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

একই সাথে ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য এডিশনাল এসপি সালাহউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া মামলার তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকলেও ক্ষমা করা হবে না।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close