দেশজুড়ে
মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের জাল টাকা বাণিজ্যের পার্টনার হচ্ছেন তারেক!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশের রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে দুর্নীতির সুযোগ হারিয়ে ফেলায় এবার ঈদ উপলক্ষে দেশের অর্থ-বাজারে জাল টাকা ছড়িয়ে বাড়তি পয়সা আয়ের নতুন ফন্দি এঁটেছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান। ঈদের পূর্বে ও পরে তারেকের এই বাণিজ্য চলমান আছে বলে জানা গেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত অর্থ আদায়ের টার্গেট পূরণ না হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে অর্থ-আদায়ের বিভিন্ন কৌশল খুঁজছিলেন তারেক। তাই দুবাই প্রবাসী কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে জাল টাকার বাণিজ্য করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন লন্ডনে পলাতক এই বিএনপি নেতা। লন্ডনে তারেক রহমানের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে এমন একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
লন্ডনভিত্তিক ওই সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়ার মুক্তিতে আন্তর্জাতিক লবিং মেইনটেইন করতে লাখ লাখ পাউন্ড-ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে তারেককে। যার কারণে আর্থিক অনটন যাচ্ছে না তার। এতে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তারেক। অর্থনৈতিক দুরবস্থা দূর করতে তাই এরইমধ্যে বাংলাদেশসহ আশপাশের আরো দুটি দেশে জাল টাকা ও অস্ত্র সরবরাহের ব্যবসার বিষয়ে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করার বিষয়েও পরিকল্পনা করেছেন তারেক।
জানা গেছে, তারেক রহমানের প্রাথমিক পরিকল্পনায় দাউদ ইব্রাহিমও রাজি হয়েছেন। এখন তিনটি দেশে বিশ্বস্ত এজেন্ট খোঁজার কাজ চলছে। গত ২৭ মে’র খবর অনুযায়ী, সব কিছু ঠিকঠাক হলে ঈদের পূর্বে ও পরে তিনটি দেশে দুবাই ও লন্ডন থেকে জাল টাকার বাণিজ্য শুরু হওয়ার কথা। যার তদারকি করবেন খোদ তারেক।
আরেকটি সূত্র বলছে, জাল টাকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য পাক-গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’য়ের সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলেছে দাউদ-তারেক কোম্পানি। জাল নোটের পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও নেপালে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করার বিষয়টিও তদারকি করা হবে। এই বাণিজ্যের যা লাভ হবে তার ৪০ শতাংশ জমা হবে তারেকের বিভিন্ন দেশের অফসোর কোম্পানিগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।