দেশজুড়ে
মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে ২১ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মফিজুল হকসহ ২১ জনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক হোসনে আরা এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামির ২৮ কোটি ৬৬ লাখ এক হাজার ২১৩ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের এমডি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, খায়রুল বাশার সজল, আবদুল হান্নান সরকার, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, এইচএম আমিরুল ইসলাম, মো. ওলিয়ার রহমান, ফজলুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান (তপন), মোহাম্মদ সোলাইমান সরোয়ার, এমএ সাদী, আসলাম হোসাইন, মেহেদী হাসান মোজাফ্ফর, হারুন আর রশিদ, শেখ আবদুল্লাহ আল মেহেদী, সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, ইমতিয়াজ হোসেন কাওসার ও মিজানুর রহমান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের ১১৩টি শাখার মাধ্যমে ১৮ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৩০৪ কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। এই টাকা ম্যাক্সিম গ্রুপভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে স্থানান্তর, রূপান্তর করে মানি লন্ডারিং করা হয়।
গ্রাহকের আমানতের বিপরীতে প্রতি লাখে মাসে দুই হাজার টাকা ও আদায়কারীকে মাসে ৫০০ টাকা করে কমিশন দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে নতুন গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ পুরনো গ্রাহককে দেওয়া হতো। ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স থেকে সংগ্রহ করা অর্থ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হতো। ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের ১১৩টি শাখা থাকলেও সমবায় অধিদফতর থেকে অনুমতি নেওয়া হয় ২৫টি শাখার। বাকি ৯৮টি শাখার অনুমোদন ছিল না বলে জানা যায়।
২০১৪ সালের ১৯ মে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের উপ-পরিচালক নূর হোসেন খান ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মফিজুল হকসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা করেন।