ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিভাগের সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ‘ডোপ টেস্ট’ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে বিভিন্ন পদমর্যাদার শতাধিক পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়। ওই টেস্টে ২৬ সদস্য মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তবে গত রোববার পর্যন্ত সংখ্যাটি বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গত রোববার রাজধানীর মগবাজার এলাকায় দায়িত্বরত অন্তত ১৩ জন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, এই শাস্তি দেয়ার আগে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। যারা নিজেদের শোধরায়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মহানগর পুলিশের মাদকাসক্ত কোনো সদস্য আমার কাছে এলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। কিন্তু আমার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত কেউ আসেনি। এ জন্য ডিএমপি থেকে উদ্যোগ নিয়ে ডোপ টেস্ট করানো হচ্ছে।
জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে নিজেদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ সদর দফতর। এর অংশ হিসেবে দুই মাস আগে ডিএমপি সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র জানায়, ডিএমপির সদস্যদের মধ্যে মাদকাসক্ত হিসেবে সন্দেহভাজনদের তালিকা করে সিআইডির ল্যাবে তাদের রক্ত ও প্রশ্রাবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। প্রথম ধাপে ১০৫ জন সদস্যের ডোপ টেস্টে ৪০ জনই মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এরই মধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট, চারজন এসআই, তিনজন এএসআই, একজন নায়েক ও ১৭ জন কনস্টেবল। তারা ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) চারজন, কল্যাণ ও ফোর্সের চারজন, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সাতজন এবং বাকিরা পল্লবী, আদাবর, খিলগাঁও, উত্তরখান ও গেণ্ডারিয়া থানায় কর্মরত। বাকি ১৪ জনও মাঠপর্যায়ে কর্মরত। তাদের বিরুদ্ধেও এই ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
/এন এইচ