দেশজুড়ে
মাত্র চারজন যাত্রী নিয়ে উড়ল বিমান
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভাড়া না বাড়িয়েও শেষ রক্ষা হলো না। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে দীর্ঘ আড়াই মাস পর চালু হওয়ার প্রথম দিন গতকাল সোমবার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রীরা তেমন আগ্রহ দেখাল না। অন্যান্য গণপরিবহনের চেয়ে তুলনামূলক বেশি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেও কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পায়নি তিনটি বিমান সংস্থা। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে মাত্র চারজন যাত্রী নিয়ে। যাত্রী সংকটে গতকাল রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটির বেশির ভাগ ফ্লাইটই বাতিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবারের সব ফ্লাইটও যাত্রীর অভাবে বাতিল করা হয়েছে। তবে অন্য দুই বিমান সংস্থা নভো এয়ার এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। তাদেরও যাত্রীর চাপ কম ছিল। এ ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ থাকায় উড়তে পারেনি রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।
জানা যায়, প্রথম দিন তিনটি রুটে (ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর) ২৪টির মধ্যে পাঁচটি বাতিল হওয়ায় ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ১৯টি। ১৫ জুন পর্যন্ত তিনটি রুটে ২৪টি ফ্লাইটের মধ্যে ইউএস-বাংলা চট্টগ্রামে ছয়টি, সৈয়দপুরে তিনটি এবং সিলেটে একটি করে ফ্লাইট চলবে। নভো এয়ারের প্রতিদিন চট্টগ্রামে তিনটি, সৈয়দপুরে তিনটি এবং সিলেটে একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতিদিন চট্টগ্রামে দুটি, সিলেটে দুটি এবং সৈয়দপুরে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা ছিল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুরে দুটি করে আমাদের মোট ছয়টি ফ্লাইট ছিল, এর মধ্যে পাঁচটিই বাতিল করা হয়েছে। সকালেই চট্টগ্রাম ও সিলেটের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে; কারণ যাত্রী ছিল না। সৈয়দপুরের ৭৪ আসনের উড়োজাহাজ ছেড়ে গেছে চারজন নিয়ে আর ফিরেছে ২০ জন যাত্রী নিয়ে। সন্ধ্যার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কম যাত্রী থাকায় তাদের অন্য বিমান সংস্থায় পাঠিয়ে ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে। যাত্রী সংকটে আজ মঙ্গলবারের ছয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।’
/এন এইচ