দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

মাটির ১১১ ফুট নিচ দিয়ে চলবে পাতাল রেল

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ উড়ালপথে কমপক্ষে ৫০ লাখ লোককে সাবওয়ে আর যাতায়াতের সুবিধা এনে দেবে মেট্রোরেল ২০৩০ সালের মধ্যেই আর মাত্র ১০ বছর এরপরই পাল্টে যাবে ঢাকার চিত্র।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেট্রো যুগে প্রবেশ করবে রাজধানী ঢাকা। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্মিত হবে আরও পাঁচটি মেট্রো লাইন। উড়াল-পাতাল (মাটির নিচে) মিলিয়ে মোট ১২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করা হবে ঢাকায়। মোট স্টেশন থাকবে ১০৪টি। পুরো রেলপথ নির্মাণ চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত।

মূলত রাজধানী ঢাকার যানজট কমানো, মানুষের যাতায়াতকে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা এবং সময় ও কর্মঘণ্টা বাঁচাতে মেট্রোরেলের মোট ছয়টি লাইন স্থাপন করবে সরকার, যার মধ্যে একটির (লাইন-৬) কাজ চলছে। এ ছাড়া বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট নামে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে গাজীপুর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত।

এমআরটি লাইন ৬: এটি এমআরটি প্রকল্পের প্রথম ধাপ। এটি হচ্ছে পুরোপুরি উড়ালপথে। ২০২১ সালের মধ্যেই এই লাইনের কাজ শেষ হবে এবং ট্রেন চলা শুরু করবে। এটি উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প (দিয়াবাড়ী) থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে। মোট ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ের অন্তত আড়াই বছর আগেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

লাইন-১ যাবে ১০ থেকে ৩৭ মিটার নিচ দিয়ে: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের সাবওয়ে লাইন বা পাতালরেল নির্মাণ হবে লাইন-১-এ। এই রুট দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, অন্যটি নতুনবাজার থেকে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত। এই লাইনের দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রথম অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। এ অংশটি হবে পুরোপুরি সাবওয়ে (পাতাল)। এ পথে মোট স্টেশন হবে ১২টি। এই রুটের ইন্টারচেঞ্জ হবে নতুনবাজারে। এখান থেকে মেট্রো চেঞ্জ করে যাতায়াত করা যাবে বিমানবন্দর, কমলাপুর, পূর্বাচল ও পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত। এই রুটে মাটির ১০ মিটার অর্থাৎ ৩০ ফুট নিচ দিয়ে মেট্রো লাইন হবে। মাটির নিচে নির্মাণযজ্ঞ চলবে, তাই ওপরে কিছুই টের পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ নির্মাণের কারণে নগরবাসীকে ভুগতে হবে না।

এই রুটেই নগরবাসী স্বাদ পাবেন ১১১ ফুট নিচ দিয়ে চলাচল করার। সেটি হবে মালিবাগ এলাকায়। এখানে যেহেতু ফ্লাইওভার বিদ্যমান, সে কারণে অনেক দূর পর্যন্ত রেলপথটি ১১১ ফুট নিচ দিয়ে নির্মিত হবে।

সাবওয়ের এই অংশে ১২টি স্টেশন হবে। এগুলো হচ্ছে- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল পূর্ব, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।

দ্বিতীয় অংশে নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার। এ অংশের পুরোটাই হবে উড়ালপথ। স্টেশন হবে ৯টি। নতুনবাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা-পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি (পিওএইচএস), মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close