জীবন-যাপনতথ্যপ্রযুক্তিস্বাস্থ্য

মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারে কিছু সাবধানতা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ ওভেন না থাকলে এখন অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক দিকে বাইরে থেকে আনা খাবার গরম করা, অন্য দিকে অল্প তেলে অথবা তেল ছাড়া রান্নার জন্য অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের দ্বারস্থ হন। তবে বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গেছে নিয়মিত মাইক্রোওয়েভে রান্না খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে রীতিমতো ক্ষতিকর!

আধুনিক জীবনে মাইক্রোওয়েভ অন্যতম নির্ভরতা হলেও এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ টানা উচিত। যারা দীর্ঘ দিন মাইক্রোওয়েভে রান্না করছেন তাদের সতর্ক হওয়ার সময় হয়েছে। এই যন্ত্রে মাছ, মাংস, ডাল, যাই রান্না করেন তাতে কিছু খাদ্যগুণ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।

মাইক্রোওয়েভে রান্না করাই হোক বা খাবার গরম করা, এই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় রেডিয়েশন। এটি আমাদের শরীর ছাড়াও পরিবেশের নানা ক্ষতি করে। গবেষণায় জানা গেছে, নিয়মিত মাইক্রোওয়েভের রান্না খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তবু আমেরিকা-ইউরোপসহ অন্যান্য উন্নত দেশের পাশাপাশি আমাদের দেশেও এর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। আমেরিকায় প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবার খাবার গরম ও রান্নার কাজে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ব্যবহার করেন।

মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারে কিছু সাবধানতা-

– মাইক্রোওয়েভে মাংস রান্না সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট বলে অনেকেই চটজলদি মাইক্রোওয়েভ কুকিং পছন্দ করেন। কিন্তু জানলে আঁতকে উঠবে যে মাংসে থাকা বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিড মাইক্রো ওভেনে রান্নার ফলে ডি-নাইট্রোসোডিএন্থানল অ্যামিনস নামে বিষাক্ত যৌগ উৎপাদন করে, যা ক্যানসারের শঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।

– মাইক্রোওয়েভে দুধ ফোটাবেন না। কারণ, এতে দুধের মধ্যে থাকা কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি, দুধে থাকা উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড পরিবর্তিত হয়ে কার্সিনোজেনিক সাবস্ট্যান্স তৈরি করে। কার্সিনোজেনিকের অর্থ বিষাক্ত রাসায়ানিক, যা ক্যানসার ডেকে আনে।

– ডিপ ফ্রিজে রাখা বরফ জমা সব্জি এই ম্যাজিক মেশিনে গরম করলে উপকারী প্ল্যান্ট অ্যালকালয়েড বিষাক্ত পদার্থে পরিণত হয়। এটিও আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ ডেকে আনে।

– বিট, গাজর, মুলোর মত রুট ভেজিটেবলস মাইক্রোওয়েভে সেঁকে নিয়ে স্যালাড বানালে এক দিকে যেমন এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, তেমনই এত বেশি ফ্রি র‍্যাডিক্যাল উৎপন্ন হয় যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

– খাবারে থাকা বিভিন্ন ভিটামিনসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাইক্রোওয়েভের ফলে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। নিয়মিত মাইক্রোওয়েভের রান্না খেয়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিস, গলস্টোন, বন্ধ্যাত্ব, ছানি এবং ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজের প্রবণতা বাড়ে।

– নিয়মিত মাইক্রোওয়েভের রান্না খেলে লসিকাগ্রন্থির কর্মক্ষমতা কমে যায়। লসিকা আমাদের শরীরকে কয়েকটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। মাইক্রোওয়েভের খাবার খেলে অন্ত্র এবং পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রবণতাও বাড়ে। হজমক্ষমতা কমে যায়, লাগাতার বদহজম চলতেই থাকে।

– লাগাতার মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারে আমাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গকে ওলটপালট করে দেয়। নার্ভ ও মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দেয়। আর এর প্রভাবে মানসিক স্থিতাবস্থা নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি, স্থিরতা, ধৈর্য কমতে শুরু করে। শুরু হয় ডিপ্রেশন।  #সংগৃহীত

/এসএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close