তথ্যপ্রযুক্তিপ্রধান শিরোনাম
মহাকাশে পাঠানো হবে গাঁজা!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মহাকাশে গাঁজা ও কফি গাছের কোষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ‘ফ্রন্ট রেঞ্জ বায়োসায়েন্সেস’ নামের এক কৃষি-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে স্পেসএক্স কার্গো ফ্লাইটে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে ওই উদ্ভিদ কোষগুলো।
মহাকাশের ভরশূন্য পরিবেশ উদ্ভিদ কোষগুলোর ওপরে কী প্রভাব ফেলে, সেটিই দেখতে চাচ্ছে কৃষি-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রন্ট রেঞ্জ বায়োসায়েন্সেস’। গাঁজা কোষের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ‘হেম্প’ নামের এক প্রজাতির গাঁজা গাছকে। ওই উদ্ভিদটির কোষ ‘কালচার’ করে তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্পেসএক্সের ‘সিআরএস-২০’ কার্গো ফ্লাইটে ওই উদ্ভিদ কোষ এবং কফি কোষ পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
কাজটি ঠিকভাবে করার জন্য প্রযুক্তি স্টার্টআপ স্পেস সেলস এবং ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো, বোল্ডারের গবেষণা সংস্থা বায়োসার্ভের সঙ্গে জোঁট বেঁধেছে ফ্রন্ট রেঞ্জ বায়োসায়েন্সেস। এ প্রসঙ্গে ফ্রন্ট রেঞ্জ বায়োসায়েন্সেসের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. জোনাথন ভট বলেছেন, “হেম্প এবং কফি কোষ কালচারের উপর ক্ষুদ্রাকর্ষণ ও মহাকাশ যাত্রা কী ধরনের প্রভাব ফলে তা দেখার জন্য এবারই প্রথম কোনো গবেষণা হচ্ছে।”
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ইনকিউবেটরে ৩০ দিন রাখার পর কোষগুলোকে আবারও পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। পৃথিবীর মাটি থেকেই মহাকাশে থাকা কোষগুলোর উপর নজর রাখবে গবেষণা সংস্থা বায়োসার্ভ। পৃথিবীতে ফেরার পর মহাজাগতিক বিকিরণ ও অস্থিতিশীল মাধ্যাকর্ষণ মাত্রা কোষের ডিএনএ’তে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি-না তা জানার চেষ্টা করা হবে।
“পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পর পরিব্যপ্তি ঠিক থাকছে কিনা এবং ফিরিয়ে আনা কোষগুলোর কোনো বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার একটি সুযোগ এটি।” – বলছেন ড. ভট।
ক্ষুদ্রাকর্ষণ ও মহাকাশ বিকিরণে উদ্ভিদের জিনে আদৌ কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা সেটিই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন গবেষকরা।
/এনএ