দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
মসজিদ খুলে দেয়ার নির্দেশ গাজীপুর সিটি মেয়রের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নেই সেসব এলাকায় আগামী শুক্রবার থেকে মসজিদ খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন গাজীপুরের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান মেয়র নিজেই।
মেয়র বলেন, গাজীপুর মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস রয়েছে। বাকিগুলো পার্শ্ববর্তী উপজেলায়। যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদ অল্পসংখ্যক মুসল্লির জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিরা অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের কোনো বাধা থাকবে না। যারা অসুস্থ নয় এবং যেসব ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি সেসব এলাকার মসজিদে যদি মুসল্লিরা নামাজ পড়তে চান তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ওইসব এলাকায় যেন বাইরে থেকে কোনো লোক করোনার উপসর্গ নিয়ে আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নগরে আমরা সবাই নিরাপদে থাকব। আমাদের পরিবার ও সন্তানদের নিরাপদে রাখব।তিনি আরও বলেন, গাজীপুরের গার্মেন্টস ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু খোলা হয়েছে সেহেতু এ এলাকার মানুষকে আর বন্দি রাখা ঠিক হবে না। ওয়ার্ডভিত্তিক ধানকাটাসহ অন্যান্য কৃষিকাজ যেগুলো আছে তা যেন তারা করতে পারে।
যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে সরকারের বিধিনিষেধ আছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করবেন। জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। এছাড়া ১০ জন মুসল্লি ও দুই জন হাফেজসহ মোট ১২ জন মসজিদে এশা ও তারাবির নামাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
মসজিদে মুসল্লি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সরকারের নির্বাহী আদেশ থাকার পর কীভাবে এই আদেশ দিলেন সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, সরকারের আদেশের ব্যত্যয় ঘটবে না। নির্দেশনা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। সব স্বাস্থ্যবিধি মানলে, পাঁচবার স্যাভলন দিয়ে মসজিদ ধুয়ে নিলে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যত জন ধরবে ঠিক তত জনই নামাজ পড়তে এলে কারও আপত্তি থাকার কথা না। সরকারের নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটবে না।মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য আমি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি করে দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, যার যার এলাকার মসজিদে নামাজ পড়বেন, কেউ এলাকার বাইরে যাবেন না।
/এন এইচ