দেশজুড়ে
মসজিদে প্রচার চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ঢাকা-১৯ আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থী ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ধর্মীয় উপাসানলয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা তিনি নিজেই তুলে ধরছেন। তবে এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এই আসনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেন ঢাকা-১৯ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা ১ম আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেন।
গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারের ব্যাংক টাউন জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নৌকায় ভোট চেয়ে বক্তব্য দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
এসময় মসজিদের মাইকে ডা. এনাম বলেন, আপনাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমি চেষ্টা করেছি শতভাগ সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য। আমি মনে করি শান্তি-শৃঙ্খলা-সুশাসন এটা আমি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই, রাহাজানি, শিল্পকারখানায় অসন্তোষ, ভাংচুর অগ্নিকাণ্ড এগুলো বন্ধ হয়েছে। যার ফলে সাভারে ব্যবসা এবং শিল্প কলকারখানার অনেক বিকাশ ঘটেছে। অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। সাভার-আশুলিয়া আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এই ধারাটা অব্যাহত রাখার জন্য আমি মনি করি নৌকাকে ভোট দেওয়া প্রয়োজন। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকেও লাইভে এসে এই প্রচারণা তুলে ধরেন তিনি।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের নগরকোন্ডা এলাকার কোটাপাড়া বায়তুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রচারণা চালানোর সময় লাইভে এসেছিলেন তিনি। সেদিন তাঁর সাথে ছিলেন বনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও বনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ আহমেদ।
এ বিষয়ে ঢাকা-১৯ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা চালানো নির্বাচনি আচরণবিধির লংঘন। আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাভার-আশুলিয়া নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৯ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১০ জন। আর এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৪ জন।