দেশজুড়ে
ভয়াবহ বন্যার আশংকা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও চার দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সে.মি.) বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে উজানের পাহাড়ি ঢল।
স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত চারদিনের ভারী বৃষ্টি। এতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা ও ধরলা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে বুধবার (১০ জুলাই) দিনগত মধ্যরাত থেকে তিস্তার পানিপ্রবাহ বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে কিছু পরিবার মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) দুপুর থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নৌকা বা ভেলা ছাড়া চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধেয়ে আসছে পাহাড়ি ঢল। এতে বড় সমস্যায় পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা। চার দিকে অথৈ পানির কারণে গবাদি পশুপাখি নিয়ে অনেকটা বিপাকে চরাঞ্চলের খামারি ও চাষিরা।
উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট এ বন্যায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়ের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।
দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানিপ্রবাহ বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
/আরএম