দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ভ্যাকসিন বৈষম্য দূর করাসহ করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৬ সুপারিশ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ধনী ও দরিদ্র দেশের টিকা বৈষম্য দূর করাসহ করোনা মোকাবিলায় ৬ দফা সুপারিশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া বিশ্বে সবার পর্যাপ্ত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গবেষণায় বিনিয়োগসহ ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের অধিবেশনে আলাদা আয়োজনে যুক্ত হয়ে এসব প্রস্তাব ও সুপারিশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনে সফরের চতুর্থদিন বৃহস্পতিবার, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের সাধারণ এজেন্ডা: সমতা ও অন্তর্ভুক্তির নিশ্চিতে পদক্ষেপ’ শীর্ষক এ আয়োজনে ধারণ করা ভিডিও বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বিভাজন দূর করতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন,’কোভিড-১৯ মহামারী দরিদ্রতম এবং ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে ফেলেছে। দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং বিভাজন দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েক দশকের অগ্রগতি আবার পেছন দিকে হাঁটছে।এখন সবচেয়ে জরুরি দাবি হচ্ছে, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ‘ভ্যাকসিন বিভাজন’ দূর করা। বিশ্বকে এখন একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে, যেখাবে বৈষম্যকে সামগ্রিকভাবে মোকাবেলা করার পরিকল্পনা থাকবে।’
বিশ্ব নেতাদের সামনে ৫ দফা প্রস্তাব রেখে শেখ হাসিনা বলেন, এ সঙ্কট থেকে উত্তরণে বৈশ্বিক পর্যায়ে সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।সট…: ((সংকট কাটিয়ে উঠতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর যে বিশেষ অর্থায়নের প্রয়োজন, তা পূরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। এলডিসি এং জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোও এর মধ্যে রয়েছে। এই ডিজিটাল যুগে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ডিজিটাল বিভাজনও দূর করতে হবে।
পরে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে চলতি দশকের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাহিসংঘের সাইড লাইনে ‘খাদ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ মহাসচিবের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা।
বৈঠকে দেয়া ভিডিও বার্তায়, খাদ্য নিরাপত্তায় কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,’খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ১০ বিলিয়ন। এই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য আমাদের আরও খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষির উন্নয়নের জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময় বাড়াতে হবে।’
খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
খাদ্যকে প্রাথমিক অধিকার উল্লেখ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান সরকারপ্রধান।
পরে, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সভাকক্ষে মালদ্বীপ ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এ্যাতেনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। (সূত্র:ডিবিসি)