ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শীতপ্রধান দেশগুলোর মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকার ঝুঁকি বেশি থাকে। আর বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি মূলত অসচেতনতার কারণে।
গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান ভিটামিন ডি ঘাটতিতে অনেক ধরণের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থুলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকতে পারে।
দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে। যেমন পোনা, মাগুর, স্যালমন মাছ, দুধ, ডিম। মূলত ভিটামিন ডি পেতে হলে সূর্যালোকের ওপরই নির্ভরশীল হতে হবে।
ভিটামিন ডি ত্বকের কোলেস্টেরল থেকে তৈরি হয়। যার অর্থ হলো ভিটামিন ডি পেতে আমাদের শরীরের অনেক বেশি ত্বক সূর্যের আলোতে প্রকাশ করতে হবে। ভিটামিন ডি পেতে বাহু, পা, পিঠ এবং পেট সূর্যের আলোতে প্রকাশ করা উচিত। তবে পিঠে রোদ লাগাতে ভুলবেন না। কারণ পিঠের ত্বক শরীরে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে।
সূর্যের আলো কখন ও কতটুকু গ্রহণ করা উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা থাকা প্রয়োজন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা হলো নিজেকে সূর্যের আলোতে রাখার সবচেয়ে সেরা সময়। এই সময়ে ইউভিবি রশ্মিগুলো তীব্র হয় এবং সূর্যের আলো আরও বেশি ভিটামিন ডি তৈরি করতে সক্ষম। এছাড়া এই সময়ের সূর্যের আলো অন্য সময়ের চেয়ে নিরাপদ। কারণ বলা হয়ে থাকে যে, কিছু সময়ের সূর্যের আলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
/এন এইচ